ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে নিয়ে সময় টিভিতে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ!

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১২; আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর প্রখ্যাত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং ইনফার্টিলিটি স্পেসালিস্ট ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জড়িয়ে সময় টিভিতে মিথ্য ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতাল।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. কামরুল হাসানের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রকৃত ঘটনা হলো- যথাযথ নিয়ম ও আইন মেনেই অগ্রীম 'সিকিউরিটির' টাকা প্রদান করে ভবন মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের চুক্তিবদ্ধ হয়। আর শর্ত মোতাবেক যথারীতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাসিক ভাড়া প্রদান করে।

প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ভবনটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর পর এবং কয়েক মাস ভাড়া প্রদানের পর ভবন মালিক হুমায়ন 'সিকিউরিটির' ১৪ লাখ টাকা চাইতে যান। যা বিষয়টি হাস্যকর বটে। কারণ যে কোন ভবন ভাড়াটিয়াকে হস্তান্তরের আগেই ভবন মালিক চুক্তিকৃত 'সিকিউরিটির' অগ্রীম টাকা গ্রহণ করে থাকেন। অথচ ভবন ভাড়া দেবার কয়েক মাস পর 'সিকিউরিটির' ১৪ লাখ টাকা চাইতে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনা প্রসূত। প্রকৃত ঘটনা হলো যে, বিভিন্ন কাজের অযুহাতে ভবন মালিক অগ্রীম টাকা গ্রহণ করেন। পরে প্রদানকৃত টাকা ফেরত/সমন্বয় করার প্রস্তাব দিলে ভবন মালিক টালবাহানা করেন।

এক পর্যায়ে উপান্তর না হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সকল প্রমাণ মামলার নথিতে আছে। (০৩) প্রতিবেদনটিতে জমি-জমা দখলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অথচ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা রাজশাহীর একজন নাম করা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং ইনফার্টিলিটি চিকিৎসক। তিনি জমি-জমা দখল বা এধরণের কার্যকলাপের সাথে জড়িত তা কল্পনাপ্রসূত বিকৃত মানষিকতার বহিঃপ্রকাশমাত্র।

প্রতিবেদনে সাবেক পিএস পরিচয় দানকারী ফজিলাতুন নেসা মেরি যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা একান্ত ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে। প্রকৃত ঘটনা হলো ফজিলাতুন নেসা মেরি দীর্ঘদিন হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্বে থাকার কারণে অর্থিক বিষয় এবং হাসপাতালের ঔষধ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম এ জড়িয়ে পড়েন। নিয়মিতভাবে অর্থ চুরি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালে তার অর্থ চুরির বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় পুলিশ ফজিলাতুন নেসা মেরিকে (৪৫) গ্রেফতার করে।

প্রতিবেদনে পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্ত হত্যা মামলায় ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার স্বামী ও তার পুত্র অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন বলে মিথ্য ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলে হয়, সময় টিভির মতো একটি জনপ্রিয় স্যাটালাইট চ্যানেলে রাজশাহীর তথা উত্তরবঙ্গের একজন প্রখ্যাত ডাক্তার এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রচার করা হলেও সেটিতে মাদারল্যান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার এন্ড হাসপাতালের কোন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাক্ষাতকার নেয়া হয়নি। যা থেকে বোঝা যায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই হাসপাতাল এবং ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। এধরণের সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই।

এতে আরোও বলা হয়, ইতপূর্বে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে হয়রানি করতে একটি রাজনৈতিক বিস্ফোরক মিথ্যা মামলাতে গত ৩ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আবারো মিথ্যা মামলাতে জেল গেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার মুক্তির দাবি জানান তারা।



বিষয়: প্রতিবাদ


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top