বাঘায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত
বাঘা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ০৫:৪০; আপডেট: ২ মে ২০২৫ ১৭:৫৬

ডেনমার্কের জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের উন্নয়ন দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় কার্যকর ও জবাব দিহিমূলক স্থানীয় সরকার শাসন প্রকল্পের (ইএএলজি) উন্নয়ন কাজ দেখে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যদিও প্রকল্পের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে, তবুও আমরা এই উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নিতে পেরে খুশি হয়েছি। সুবিধাভোগীদের এই প্রকল্প থেকে যে সুন্দর চর্চা শুরু হলো, তা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।
কার্যকর ও জবাবদিহি মূলক স্থানীয় সরকার শাসন প্রকল্পের (ইএএলজি) ডিস্ট্রিক ফ্যাসালিটেটর (ডিএফ) আবু হেনা মোস্তফা কামালের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেনমার্ক দূতাবাসের সিনিয়র এডভাইজার আমিনুজ্জামান, রাষ্ট্রদূতের অতিথি মি. জেন এস্ট্রাপ পিটারসেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহানা আখতার জাহান, প্রকল্পের প্রগ্রামার মোজাম্মেল হক, বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা, প্রজেক্ট কো-অডিনেটর শরিফুল হক।
আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন ইএএলজি প্রকল্পের বাসস্তবায়নের ফলে উপকারভোগী সদস্যগণ। এই প্রকল্পের রাজশাহী জেলার ৩০টি ইউনিয়ন ও দুইটি উপজেলা পরিষদকে প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিষদগুলোতে নিয়মিত গণশুনানি, পরিষদের স্থায়ী কমিটির সভা আয়োজন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জেন্ডার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, উন্মুক্ত বাজেট সভা, পরিষদের সঙ্গে স্থানীয় মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংলাপ অনুষ্ঠান, উপজেলা পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ, উপজেলা পরিষদ কমিটি সদস্যদের প্রশিক্ষণ, ওয়ার্ড সভা, ইউনিয়ন পরিষদের কর ধার্য ও আদায় সহায়তাকরণ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের এসডিজি বান্ধব পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রনয়ণ, এসডিজি বিল বোর্ড স্থাপনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচির কারণে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সেবার মান পরিবর্তন এসেছে। স্থানীয় নাগরিকরা তাদের পরিষদ কর্মকান্ড সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারছেন।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা। পরে রাষ্ট্রদূত ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় মনিগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণি কক্ষ নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্য মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকায় একটি রাস্তার বিষয়ে ওয়ার্ড সভায় তুলে ধরলে প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে।
এদিকে একই গ্রামে লাবনী বেগম বলেন, আমার অভাবের সংসারের বিষয়ে এক ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপনা করা হলে আমাকে একটি সেলাই মেশিন দেন। আমি এতে উপকৃত হয়েছি।
আরেক সদস্য টুলুয়ারা বেগম বলেন, বিধাব ভাতার বিষয়ে তুলে ধরায় আমাকে ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়েছে।
মীরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না খাতুন বলেন, সে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ যাতাযাতের অর্থ সংকটের বিষয়টি ওয়ার্ড সভায় তুলে ধরলে তাকে একটি বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: