যুক্তরাজ্যের মানুষকে বড় মূল্য দিতে হবে: সাবেক গভর্নর

যুক্তরাজ্যের মানুষকে বড় মূল্য দিতে হবে: সাবেক গভর্নর

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২২ ০০:৪৫; আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৯:৫০

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে যত অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হচ্ছে, ততই অস্থির হয়ে উঠছে দেশটির মুদ্রা পাউন্ড। আজ দর কমছে তো কাল আবার দর কিছুটা বাড়ছে—কয়েক মাস ধরে এভাবেই চলছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করার পর পাউন্ডের দর কিছুটা বৃদ্ধির পর আবারও কিছুটা পড়েছে। নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট নানা চেষ্টাচরিত্র করেও পাউন্ডের দর বাড়াতে পারছেন না।

সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। জিডিপির সংকোচন হচ্ছে। সরকারি ঋণের সুদহার বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে দেশটির মানুষকে বড় মূল্য দিতে হবে বলে মনে করেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মারভিন কিং। কারণ হিসেবে তিনি বিবিসিকে বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী কোয়াজি কোয়ার্টাঙ যেসব কর ছাড়ের পরিকল্পনা দিয়েছিলেন, নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সাবেক অর্থমন্ত্রীর সব পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছেন। সরকারি ব্যয়ও হ্রাসের কথা বলেছেন। তা সত্ত্বেও সরকারের ঋণ এখন যে পর্যায়ে আছে, তা শোধ করতে গেলে জনগণের করের বোঝা বাড়বে।

মারভিকন কিংকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে ২০১০ সালে যে ধরনের কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল, সে ধরনের কিছু ঘটবে কি না। উত্তরে কিং বলেন, পরিস্থিতি তার চেয়ে খারাপ হতে পারে। তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা যদি ইউরোপীয় মানের জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থা চাই, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো করহার দিয়ে তা সম্ভব হবে না। ফলে গড়পড়তা জনগণের ওপর উচ্চ হারের করারোপ প্রয়োজন হতে পারে।’ কিন্তু তাঁর মতে সমস্যা হলো, ধনীদের হাতে অত অর্থ নেই যে তাঁদের কাছ থেকে রাষ্ট্র বড় কিছু ফেরত পেতে পারে। এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মনে করেন।

তবে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের এখন বড় সমস্যা হচ্ছে নেতা নির্বাচন করা। লিজ ট্রাসের পর পদত্যাগের পর আবারও নেতা নির্বাচন করতে হবে কনজারভেটিভ পার্টিকে। যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, স্বাভাবিকভাবে তাঁর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।

এদিকে পাউন্ডের দরপতনের কারণে যেসব পণ্য অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়, সেই সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিষয়টি হলো, ডলার বা ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন হলে যেসব পণ্য এসব মুদ্রায় আমদানি করতে হয়, সেগুলোর মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। এমন সময়ে তা ঘটছে, যখন যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে দেশটির মানুষের কপালে দুঃখ আছে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top