২০ ভাগ অর্থ পাচার হয় বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৩; আপডেট: ৩ মে ২০২৪ ১৯:০৩

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে যে পরিমাণ মানিলন্ডারিং হয় তার প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয়। আর বীমা খাতে অর্থ পাচারের বেশির ভাগ পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সংশ্লেষের মাধ্যমে ঘটে থাকে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। দেশের বীমা খাতের লাইফ ও নন-লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের জন্য বিএফআইইউ হতে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফআইইউ প্রধান কর্মকর্তা মো: মাসুদ বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের (ইডরা) পরিচালক এস এম মাসুদুল হক ও সহকারী পরিচালক আবু মাহমুদ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর প্রধান মো: মাসুদ বিশ্বাস বলেন, বিশ্বে যে পরিমাণ মানিলন্ডারিং হয় তার প্রায় ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা হয়। মানিলন্ডাররা প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল ও মাধ্যম পরিবর্তন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে আর্থিক সেবা খাতের মধ্যে তুলনামূলকভাবে দুর্বল খাতকে মানিলন্ডারিং-এর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। এ বিবেচনায় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজেদেরকে মানিলন্ডারিং ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিএফআইইউ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়ম শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো রি-ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম বাবদ বিদেশী নামসর্বস্ব ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করা, বীমা পলিসির মেয়াদপূর্তি সত্ত্বেও পলিসির বিপরীতে গ্রাহকদের দাবি নিষ্পত্তি না করা, প্রিমিয়াম বাবদ গৃহীত অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিনিয়োগ না করে অন্যত্র স্থানান্তর, প্রিমিয়ামের অর্থ পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্নভাবে তছরূপ, বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তাদের নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন পরিচালনা করা।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ইডরার পরিচালক এস এম মাসুদুল হক বলেন, বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো পলিসির মেয়াদপূর্তি সত্ত্বেও গ্রাহকদের দাবি অনিষ্পত্তিকৃত রাখে। তিনি আরো বলেন, বীমা খাতে অর্থ পাচারের বেশির ভাগ পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সংশ্লেষের মাধ্যমে ঘটে থাকে।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোছাইনী মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের নানা খুঁটিনাটি দিক ও এ বিষয়ে করণীয় বিষয়ে বিশদভাবে উপস্থাপন করেন।

সমাপনী বক্তব্যে নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি হেড অব বিএফআইইউ এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বিএফআইইউ, ইডরা, বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ প্রয়াসে সুসংহত বীমা খাত গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বিএফআইইউ পরিচালক মো: আরিফুজ্জামান বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন কাজে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের উদ্যোগে একটি এসোসিয়েশন গঠনের পরামর্শ দেন ।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন হোছাইনী, যুগ্ম পরিচালক মো: রোকন-উজজামান ও মো: মোশাররফ হোসেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন লাইফ ও নন-লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top