হোমমেড চকলেট বেচে লাখপতি সাথী মনি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৭; আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৪

ছবি: সংগৃহীত

দুবছর ধরে ফেসবুকে পেজ খুলে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন রাজশাহীর সাথী মনি। এখন তাঁর মাসে আয় ভালো। বনে গেছেন লাখপতি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা হয় সাথী মনির। জানান নিজের উদ্যোক্তা-জীবনের কথা। বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নাম চকোলেত্তো (chocoletto)। আমি কাজ করছি দুই বছর। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ।

আমি রাজশাহীর মেয়ে। থাকি ঢাকায়। আমি প্রথমে উইতে (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) লিচু ফুলের মধু নিয়ে কাজ শুরু করি। তখন আমি অনেক ভালো সাড়া পাই। ছয় মাসে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার মধু বিক্রি করি।

যেহেতু লিচু ফুলের মধু সিজনাল, তাই মধু শেষ হয়ে যায়। তার পর আমি হোমমেড চকলেট নিয়ে কাজ শুরু করি। আগেই সবার সাথে আমার পরিচয় হয়ে গেছে, তাই আর নতুন করে গ্রুপে পরিচিত হতে হয়নি। তাই নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করলেও খুব ভালো সাড়া পাই। আমার পেজ থেকেও খুব ভালো অর্ডার পাচ্ছি। প্রতিদিন ৮-১০টা মিনিমাম অর্ডার থাকে, আলহামদুলিল্লাহ।’

সাথী মনি বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক অনেক অর্ডার থাকে। সেগুলো আমি নিজে বানাই। তার পর আবার ডেলিভারি দিই। এ ছাড়া আমার সংসারে ছোট মেয়ে আছে। সব কিছু সামলিয়ে ব্যবসার সব কাজ করতে হয়।’

কী কী পণ্য নিয়ে কাজ করছেন? সাথী মনি বলেন, ‘হোমমেড চকলেট নিয়েই কাজ করছি। বিভিন্ন ধরনের টকলেট। অবশ্যই মান রক্ষা করে আমাকে চকলেট বানাতে হয়। চকলেটের কাঁচামালগুলো আমি নিজে সংগ্রহ করি এবং ভালো কোয়ালিটির কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরি করি। বাজারে কাস্টমাইজড চকলেটের চাহিদা অনেক।’

পরিবার থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? জবাবে সাথী মনি বলেন, ‘পরিবার বলতে আমার বাবা-মা পাশে থাকতে পারেনি তেমন; যেহেতু আমি ঢাকায় থাকি, তারা রাজশাহীতে থাকে। দূরে থেকে উৎসাহ দিয়েছে যতটুকু পেরেছে। এ ছাড়া আর কেউ এমন নেই।’

উইয়ের ফেসবুক গ্রুপ সাথী মনির উদ্যোক্তা-জীবনকে প্রভাবিত করেছে। উই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বলব প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জায়গা হলো উই গ্রুপ। এই গ্রুপের হাত ধরেই আজ লাখ লাখ মেয়ে উদ্যোক্তা হতে পেরেছে। তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে। কত মেয়ের বেঁচে থাকার শক্তি জুগিয়েছে উই গ্রুপ। আমাদের সবার প্রাণের প্রিয় নিশা আপুকে (উইয়ের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা) অনেক ধন্যবাদ এবং সম্মান জানাই আমাদের মেয়েদের জন্য এত ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য।’

উদ্যোক্তা হতে পেরে কেমন লাগছে? সাথী মনির ভাষ্য, ‘উদ্যোক্তা হয়ে অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। নিজে কিছু করতে পারছি। নিজের আয়ের টাকা দিয়ে নিজে চলতে পারছি। কাউকে হেল্প করতে পারছি। আমার অনুপ্রেরণা কেউ নেই। আমি নিজেই করেছি। কখনও কারও হেল্প পাইনি। ছোট বাচ্চা নিয়ে একাই সব করেছি। প্রথম প্রথম অনেক কষ্ট করেছি, এখন আলহামদুলিল্লাহ আর কোনও সমস্যা হয় না।’

বিক্রির খবর কি বলা যায়? সাথী মনি বলেন, ‘উই গ্রুপ থেকে আমি লাখপতি হয়েছি। এ ছাড়া যেহেতু আমার পেজও অনেক অ্যাকটিভ, ফলোয়ার ১৬ হাজারের বেশি, তাই সব মিলিয়ে পাঁচ-ছয় লাখ টাকার সেল করেছি।’

আগামী দিনগুলোতে সাথী মনি তাঁর পণ্যের মান ধরে রেখে এখনকার মতোই ব্যবসা করে যেতে চান। সাথী মনি আরও সফল হোন, এমন প্রত্যাশা সবার।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top