৩৫০ বছরের মোগল নিদর্শন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১১; আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:১২

ছবি: সংগৃহীত

১৬৮০ সালের মোগল আমলের নিদর্শন এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। এটি রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাতগম্ভুজ মসজিদ। প্রায় ৩৫০ বছর পুরোনো মসজিদটি সুবাদার শায়েস্তা খাঁর পুত্র উমিদ খাঁ নির্মাণ করেন। চারটি বড় মিনার ও তিনটি ছোট মিনার মিলে মোট সাতটি মিনারের জন্য এই মসজিদের নামকরণ হয়েছে ‘সাতগম্বুজ মসজিদ’। খবর ইত্তেফাকের। 

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতের ডান দিকে বাঁশবাড়ী সড়ক ধরে কিছুদূর এগোলেই হাতের বাম দিকে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কয়েক শতাব্দী ধরে। এই মসজিদ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা কথা। যা ৩৫০ বছর পরেও কেউ-বা বিশ্বাস করেন, আর কেউ-বা কল্পকাহিনী বলে মনে করেন। এখনো কিছু মানুষ বিশ্বাস করে এই মসজিদে মানত করেন।

নান্দনিক এই মসজিদটির সামনের বেশকিছু অংশ ঢালাই করা। যা মুসল্লিদের নামাজের জন্য রাখা হয়েছে। এর এক পাশে বেশকিছু বাঁধাই করা কবর। কবরের পাশ দিয়ে পেছনে গেলে দেখা যায় নামাজ পড়তে আসা মানুষের অজুর জায়গা। তিন কোনা আকৃতির একটা ছোট পানির চৌবাচ্চা। এর মাঝখানে একটি শাপলা ফুলের ফোয়ারা। মোগল আমলের এই মসজিদটি এখনো তার নির্মাণশৈলী নিয়ে অম্লান হয়ে আছে। মসজিদের পাশেই রয়েছে শায়েস্তা খাঁর মেয়ের কবর। যা ‘বিবির মাজার’ নামে পরিচিত। কবরের জায়গাটি ঘিরে বেশকিছু সবুজ গাছ ও ফুল ফুটে আছে। যা মসজিদটিসহ পুরো স্থাপনাটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যায়, মসজিদটির আয়তন নামাজের স্থান থেকে বাইরের দিকের দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ এবং প্রস্ত ৮.২৩ মিটার। এটির ভেতর থেকে বাইরে বের হতে পাঁচটি দরজা রয়েছে। দুই পাশে দুইটি দরজা ও তিনটি দরজা মিনারের সামনের দিকে। পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে তিনটি মেহরাব। মসজিদের বাইরের প্রশস্ত যেই জায়গাটি রয়েছে, সেখানেও প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মাদ সামছুল হক বলেন, আপনারা জানেন—মসজিদটি অনেক পুরোনো। এটি নিয়ে এখন আর নতুন করে বলার কিছু নেই। উইকিপিডিয়া সার্চ করলেই সব তথ্য পেয়ে যাবেন। এখানে প্রতি নামাজে অনেক লোক হয়। সেটা হয়তো পাশে একটি মাদ্রাসা আছে বলেই হয়। বর্তমানে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দেখাশোনা করে।

মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে আসা ষাটোর্ধ্ব মফিজুর রহমান বলেন, একসময় সাতগম্বুজ মসজিদের পাশ দিয়েই বয়ে যেত বুড়িগঙ্গা নদী। মসজিদের ঘাটেই ভিড়ত নৌকা-লঞ্চ। সেসব এলাকায় এখন ভরাট হয়ে বাড়ি তৈরি হয়েছে। জানা যায়, মসজিদের দান বাক্সের টাকায় মসজিদে কর্মরত ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।

মসজিদ প্রাঙ্গণে কথা হয়, একজন উর্দুভাষী বাঙালির সঙ্গে। তিনি জানান, আমার মেয়ের কিছু সমস্যা আছে, সেজন্যেই আমরা এখানে এসেছি। মসজিদের ইমামের কাছে থেকে তিনি ‘পড়াপানি’ নেবেন বলে জানান।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top