বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে পিবিআইর প্রতিবেদন

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ০৩:২৬; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০১:০১

ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এটি জমা দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন পিবিআই ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নরহত্যার দায়ে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়েছে।
পিবিআই সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে জুনায়েদ বাবুনগরী ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব হাবিব উল্লাহ, হেফাজত নেতা নাছির উদ্দিন মুনির, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, আবদুল মতিন, শহীদুল্লাহ, রিজুয়ান আরমান, জাফর আহমদ, এনামুল হাসান ফারুকী, আনোয়ার শাহ, শফিউল আলমসহ ৪৩ জন রয়েছেন।
 
পূর্বপরিকল্পিতভাবে আহমদ শফীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটি করেন আহমদ শফীর শ্যালক মো. মঈন উদ্দীন। মামলার আরজিতে বলা হয়, অসুস্থ হলেও আহমদ শফীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় তাঁর কক্ষে আটকে রাখা হয়। তাঁর কক্ষে আসামিদের ইন্ধনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। মাদ্রাসা মাঠে আহমদ শফীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে রাখা হয়। আর এটি আটকে রাখার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেন এনামুল হাসান ফারুকী।
 
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী মারা যান। শফীর ছেলে আনাসকে চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতিসহ ছয় দফা দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর জোহরের নামাজের পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্ররা। তাঁরা মাদ্রাসার সব কটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। আনাসসহ কয়েকজন শিক্ষকের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহীকে মাদ্রাসার ভেতরে পেয়ে মারধর করেন ছাত্ররা।
ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে মাদ্রাসাটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে সরে দাঁড়ান আহমদ শফী। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় শুরা কমিটি। দাবি মেনে নেওয়ায় ওই দিন রাতে ছাত্ররা আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
 
আহমদ শফীর মৃত্যুর পর থেকেই আমির নির্বাচন নিয়ে সংগঠনটির মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়। ১৪ নভেম্বর ঢাকায় ও চট্টগ্রামে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তোলে আনাস মাদানীর অনুসারীর একটি অংশ। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রয়াত আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন। আর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
 
গত ১৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে হেফাজতের নতুন আমির নির্বাচিত হন জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে তিনি সংগঠনটির মহাসচিব ছিলেন। ১৫১ সদস্যের কমিটিতে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ তাঁর অনুসারীদের কাউকে রাখা হয়নি।
পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে হেফাজত ইসলামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
 
 
 
 
 
সূত্র: প্রথম আলো


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top