নানা আয়োজনে পালিত হল পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের মাসিক সাহিত্যমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২১ ০৮:৩৮; আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৩৯

পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের মাসিক সাহিত্যমেলা।

রাজশাহীতে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হলো পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের মাসিক সাহিত্যমেলা। পরিচয় প্রাঙ্গণ মিলনায়তনে আয়োজনের প্রথমেই ‘সাহিত্যের সমকালীন বাস্তবতা ও লেখকের দায়’ শীর্ষক এক সাহিত্য সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পরিচয় সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কবি ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সাহিত্য সংলাপে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পদার্থ বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক প্রফেসর ইমেরিটাস ড. একেএম আজহারুল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন আশির দশকের অন্যতম কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ।

শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনার মাধ্যমে সংলাপ চলে। কবি ও গবেষক ড. ফজলুল হক তুহিন এর সঞ্চালনায় সংলাপে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য সমালোচক প্রফেসর ড. আবদুর রহমান, বর্ষিয়ান লেখক খন্দাকর আমিনুল হক, ছড়াকার ও সাংবাদিক সরদার আবদুর রহমান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জনাব শরীফ উদ্দিন, কবি ও সম্পাদক মনজু রহমান, কবি ও সাহিত্য সমালোচক খুরশিদ আলম বাবু, কবি সায়ীদ আবুবকর, রাবি প্রফেসর ড. শাহ হোসাইন আহমদ মেহদী, প্রফেসর ড. সেতাউর রহমান, কবি ও গল্পকার আসাদুল্লাহ মামুন, ছড়াকার এরফান আলী এনাফ, কবি ও গবেষক ড. আমিনুল ইসলাম, ইতিহাস গবেষক মোহাম্মদ জোহরুল ইসলাম, কবি ও আইনজীবি মানিক রায়হান, কবি ও সম্পাদক সোহেল মাহবুব, গল্পকার মনির বেলাল প্রমুখ।

সংলাপে বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের প্রতিনিধিগণও অংশগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ তিনঘন্টার অন্তরঙ্গ সংলাপে বাংলা সাহিত্যের সমকালীন বাস্তবতার নানা দিক উঠে আসে।

বক্তাগণ বলেন, নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যের চর্চা ও সমৃদ্ধি এখন সকল সময়ের চেয়ে শীর্ষধারায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশে এখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা ব্যাপকভাবে আশাপ্রদ। কিন্তু সাহিত্যে সমাজবাস্তবতার চিত্র খুব বেশি প্রতিফলিত হচ্ছে না। নান্দনিতার বিষয়ে সচেতনতার সাথে সাথে নৈতিক উন্নয়ন ও সমাজ গঠনে সহায়ক সাহিত্যের খুব বেশি প্রয়োজন। বিশেষকরে বিশ্বায়নের এ অস্থির সময়ে শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এ ধরনের সাহিত্য খুব বেশি রচনা করা দরকার। সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন এবং কৌশলী নীতি আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনছে। দৈনিক কাগজের সাহিত্য পাতাসমূহ সাহিত্যচর্চার পথকে উন্মুক্ত করে দিলেও এ পাতাগুলোও অনেকটা কর্পোরেট বাণিজ্যের মতোই হয়ে পড়েছে। ভার্চ্যুয়াল সাহিত্যের জগতে গুণগত মানের চেয়ে সেলিব্রেটিভাবের চর্চাই বেশি। রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের হাত থেকে সাহিত্যকে বের করে আনতে হবে। জীবন বাস্তবতার নিরিখে বাংলাসাহিত্য চর্চার পথ উন্মুক্ত করতে পারলেই সাহিত্যের পাঠবিমুখতা রোধ করা সম্ভব বলেও বক্তাগণ মনে করেন।

বাদ জুময়া শুরু হয় খিচুড়ি আড্ডা। অনুষ্ঠানস্থলে রান্না করা গরম গরম খিচুড়িতে মেতে ওঠেন লেখকগণ। এরপরে বেলা আড়াইটা থেকে অনুষ্ঠিত হয় ছড়া, কবিতা, গান আড্ডা। সভাপতিত্ব করেন অ্যালবাম সম্পাদক কবি মনজু রহমান। কবিদম্পতি শরীফ উদ্দিন ও শিরিন শরীফের যুগল আবৃত্তির মধ্যদিয়ে আড্ডা জমে ওঠে। ছড়া, কবিতা এবং গান-আড্ডায় মাতিয়ে তোলেন মাহফুজুর রহমান আখন্দ, আসাদুল্লাহ মামুন, ফজলুল হক তুহিন, অভি মণ্ডল, এরফান আলী এনাফ, জামাল দ্বীন সুমন, সাবের রাহী, নীলা পারভিন, সোহেল করিম দিপু, সোহেল মাহবুব, মনির বেলাল, মুর্শিদা খানম, হাসিনা বিশ্বাস, আমিন মোহাম্মদ, মঞ্জিলা শরীফ, শেখ তৈমুর আলম, নুরুল আলম, এ কে এম দৌলতুজ্জামান, আকতার আলী, মনজুর রাহী, সরদার মুক্তার আলী, আবদুর রাজ্জাক রিপন, কামাল উদ্দিন, নাহিদা আকতার নদী, সুমাইয়া জামান, সজীব মেহেদী, জসিম উদ্দিন বিজয়, আরাফাত শাহীন, সুলতান মাহমুদ রুপোশ, আল মারুফ, এ কে এম আমিনুল হক, সালেকুর রহমান সম্রাট, জায়িদ হাসান জোহা, মোস্তফা ফেরদৌস হাজরা, তাওহিদ আল হিশাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, মুহাম্মদ ইসাহাক, হাফিজুর রহমান বাবু, জাকির হোসেন, আল জাকারিয়া, ইউসুফ নূর, ফাহাদ হামজা, মনতাছির আহমেদ তানভীর, তাওহিদুল ইসলাম, মওদুদ আলম, আহমাদ জুবায়ের, হিমেল আহমেদ, রাজিবুল ইসলাম, মারুফ হাসান, তৌহিদ আলম মণ্ডল, সাদমান সামির, শামীম আহমেদ, রহমাতুল্লাহ আল আরাবী প্রমুখ।
- সালেকুর রহমান সম্রাট



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top