মশা মারতে ১২২ কোটি টাকা খরচ করবে ডিএনসিসি

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৩:২৪; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৩:২৫

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাজেটে নগরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং যন্ত্রপাতি কিনতে ১২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে ডিএনসিসি।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এবার ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করবে ডিএনসিসি। গত অর্থবছরে এই কার্যক্রমে ব্যয় ছিল ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরে এই খাতে বাড়ানো হয়েছে ৬১ শতাংশ।

মশার ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ফগারহুইল স্প্রে মেশিন পরিবহন ৫ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি ১ কোটি টাকা, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৩০ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিচালনার জন্য রাখা হয়েছে ২ কোটি টাকা।

এ ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৫ কোটি টাকা। এই অর্থবছরে এ খাতে খরচ বৃদ্ধির হার শতভাগ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ এবং মশক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রপাতি কিনতে ব্যয় করবে ৩০ কোটি টাকা। ডেঙ্গু মোকাবিলা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারে ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মশার সঙ্গে যুদ্ধে এই অর্থবছরে ১২১ কোটি টাকা ৮৪ লাখ টাকা খরচ করবে উত্তর সিটি করপোরেশন।

এদিকে বাজেট ঘোষণায় জানানো হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয় হিসেবে রাজস্ব খাত থেকে ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, অন্যান্য খাতে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সরকারি অনুদান (উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ। এ ছাড়া অর্বতক খাতে সাহায্য মঞ্জুরি ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার পাশাপাশি সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট বাজেট ৫ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাজেটে ব্যয় হিসেবে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ১৪ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন ব্যয় (নিজস্ব উৎস) ১ হাজার ৫১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প) ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

বাজেট বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, একটি টেকসই ও নিরাপদ শহর বিনির্মাণে আমরা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। মশক নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

মশা নিধনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করে প্রচারাভিযান, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসার ১ হাজার ইমাম ও খতিবের সঙ্গে এবং স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ছাদ বাগানে এডিসের লার্ভা শনাক্তে ড্রোনের ব্যবহার।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top