বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল : মার্কিন প্রতিবেদন

রাজটাইমস ডেস্ক:  | প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৪:২৯; আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২৩

ছবি সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাসনব্যবস্থার পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সাথে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ (প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদার) করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। আগস্টের কিছু ঘটনার পর দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, যদিও কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

আগের সরকারের আমলে মানবাধিকার-সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে বা বেআইনি হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন কিংবা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, নির্বিচারে গ্রেফতার বা আটক, বিদেশে থাকা সমালোচকদের সরকারিভাবে হয়রানি, মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, যার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেফতার বা বিচার করা এবং সেন্সরশিপ, শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ, শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি বা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি, শিশুশ্রমের সবচেয়ে খারাপ ধরনের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি।

পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে দায়মুক্তির অসংখ্য প্রতিবেদন পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করা ও শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। সরকার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আগের সরকারের অনেক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে জুলাই ও আগস্টে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসঙ্ঘের সাথে একযোগে কাজ করেছে। অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সাধারণ বিচার ব্যবস্থা ও বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়কেই কাজে লাগানো হচ্ছে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top