পিকে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আরও ৫ মামলা

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১ ০২:৪৩; আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৪:৩৪

পিকে হালদার

দেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে পাঁচটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ৪৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এই পাঁচ মামলায় পিকে হালদারসহ মোট ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

একইসঙ্গে পিকে হালদারের সহযোগী ৩৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদবিবরণীর নোটিশ জারিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাগুলো দায়েরসহ নোটিশ জারির এই অনুমোদন দেয় বলে বৃহস্পতিবার সংস্থাটির পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৯ মার্চ ১০টি মামলার অনুমোদন দেয় দুদক। আজ (বৃহস্পতিবার) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (১) পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। পিকে হালদারকে সব মামলায় আসামি করা হয়েছে।

লিপারো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ১৭৪ কোটি টাকা, আর বি এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৫ কোটি টাকা, ওকায়ামা লিমিটেডের নামে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইমেক্সোর নামে ৫৮ কোটি টাকা এবং কনিকা এন্টারপ্রাইজের নামে ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাগুলোতে।

এর আগে পিকে হালদার কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৫ জানুয়ারি ৩৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোতে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণের নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেডের নামে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, প্রায় দেড়শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা তদন্তে রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার কারিগর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। দুদক ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে।

এ ছাড়া দুদকের ক্যাসিনো দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট তালিকায় লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত পিকে হালদারের নামও রয়েছে। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতায় তার বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান বলে গত বছরের শুরুতে খবর আসে। এর পর আইএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে অপসারণের পাশাপাশি তার সম্পত্তি জব্দ করা হয়।

বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। তবে পিকে হালদার পালিয়ে যাওয়ার পরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা করে।

 

 

 

সূত্র: যুগান্তর

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top