করোনায় শ্রমিক মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: নুর

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২১ ০৩:০৩; আপডেট: ২ আগস্ট ২০২১ ০৮:১৬

ফাইল ছবি

শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা প্রতিরোধ টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হোক নূর। একইসাথে তিনি বলেছেন, কোনো শ্রমিক যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তাহলে সেই শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যয় মালিককে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ভিপি নুর বলেন, মানুষ তীব্র ভোগান্তি নিয়ে ঢাকায় আসায় আমরা যখন সমালোচনা করেছি তখন ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় সরকার সিদ্ধান্ত নেন যে গণপরিবহন রোববার ১২টা পর্যন্ত চলবে। এটা স্পষ্ট যে সরকারের কাজের সমন্বয়হীনতা। আর এই সমন্বয়হীনতা শুধু এখন নয়। গত বছরের শুরু থেকে লকডাউন দেয়া, গার্মেন্টস খোলা, শ্রমিকদের ঢাকা আনা-নেয়া নিয়ে অন্তত পাঁচবার এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ছাত্র অধিকার, যুব অধিকার ও প্রবাসী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। সাত-আটটি দেশ বাদে এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকেনি পৃথিবীর কোনো দেশে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা করে দেশকে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হয়েছিল, একইভাবে এখন দেশকে শিক্ষা শূন্য করার চেষ্টা চলছে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, আপনারা দেখছেন গতকাল থেকে কী একটা তুঘলকি কাণ্ড ঘটছে। হাজার হাজার লোক আসছে। কোনো রেসপন্সেবল গভর্নমেন্ট এটা করতে পারে না। এদিকে থেকে বলা হয়েছে, আপনারা যদি না আসতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। আপনাদের চাকরি যাবে না। অন্য দিকে মালিকপক্ষ থেকে শ্রমিকদের টেলিফোনে করে বলেছে, রোববারের মধ্যেই কাজে যোগ দিতে হবে, নইলে চাকরি থাকবে না। এটাকে তুঘলকি কাণ্ড বলবেন না তো কী বলবেন?

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে ডিসেম্বর পর সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। এটা কি সম্ভব? আমাদের ১৩ কোটি মানুষকে ২৬ কোটি ডোজ দিতে হবে। লাগবে ২৬ কোটি টিকা। কিন্তু কতজনকে টিকা দেয়া হয়েছে? কত টিকা আছে? এটা সঠিক হিসাব সরকার দিতে পারে না। কত টিকা আসবে এটা তাদের জানা নেই।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমি এখানো ছোট ছোট তিনটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই- ১. সরকারের অদূরদর্শিতা, ২. জনগণকে সরকার তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মনে করে, ৩. সরকারের বাণিজ্যিক স্বার্থ। এই তিনটি কারণে বাংলাদেশ অবস্থা আজ বিপদগ্রস্ত। টিকা দেয়ার কোনো প্রস্তুতি নেই। সরকারের কথার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেএসডির সা কা ম আনিছুর রহমান খান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অ্যাডভোকে শাহ আহমেদ বাদল, গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহিদ উল্লাহ কায়সার ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top