হরেক নামে ‘লকডাউন’ ছয় মাসে বিপুল ক্ষতির মুখে দেশ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২১ ১৪:১২; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৮:১৪

ছবি: সংগৃহিত

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বয়স ১৬ মাস পার হয়েছে। যার ছয় মাসই কেটেছে লকডাউনে। এর কবলে পড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনাযাত্রা, শিক্ষাব্যবস্থা ও অর্থনীতিসহ সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। প্রতিদিন ক্ষতির অংক বেড়েই চলেছে। কখনো শিথিল, কখনো কঠোর লকডাউন। নামে কী আসে যায়। বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। প্রথম দিকে ২/১ দিন কড়াকড়ি থাকলেও পরে সেটি আর শক্ত অবস্থানে থাকেনি। গণপরিবহণ, লঞ্চ ও ট্রেন না চললেও অন্যান্য যানবাহন ঠিকই চলেছে। গ্রামগঞ্জ ও মফস্বল শহরে বাজারঘাট সবই ছিল স্বাভাবিক। কার্যত লকডাউন ওই অর্থে কখনো কার্যকর হয়নি। অনেকে রুটিরুজি প্রশ্নে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন। এ নিয়ে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই।


জীবন, না জীবিকা আগে? এমন বিতর্ক ও প্রশ্নের সঠিক উত্তর না মিললেও এখন পর্যন্ত বাস্তবতা হলো-স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষ সচেতন নয়। তা ছাড়া সমন্বয়হীনতা ও সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় বেশ কয়েকবার ফেরিঘাটগুলোতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। গত ৩১ জুলাইও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ঢাকামুখী গার্মেন্টস ও শিল্প কলকারখানার কর্মীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় ফেরিঘাট ও পথে পথে। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার পেছনে এসব ঘটনাও বড় অংশে দায়ী। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো জাতিকে। যুগান্তরকে এমন সব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে লকডাউন। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তবে দেশে ব্যাপকভাবে লকডাউন পরিচিতি পেলেও সরকারি প্রজ্ঞাপনে কখনোই লকডাউন শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে শুধু সাধারণ ছুটি ও বিধিনিষেধ। কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারকরা একে কখনো লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন, শাটডাউন, কঠোর বিধিনিষেধ ও অতি কঠোর বিধিনিষেধ নামে একে অভিহিত করেছেন। প্রথমে নির্বাহী আদেশের আওতায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে। ৭ দফা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম চীনের উহানে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালের শুরুতে তা বিভিন্ন দেশে ছড়াতে থাকে। ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতেও ছড়াতে শুরু করে করোনা। মার্চে এসে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বাংলাদেশে মার্চের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের ঢেউ আঘাত হানে। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। স্তিমিত হয়ে যায় মানুষের চলাচল। ব্যবসা বাণিজ্যের গতিও কমতে থাকে। রপ্তানিতে নেমে আসে বিপর্যয়। আমদানিতে স্থবিরতা। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম দিকে যেখানে করোনা রোগী শনাক্ত হয়, সেখানে বা সংশ্লিষ্ট বাড়ি বা আশপাশের এলাকায় লকডাউন দেওয়া শুরু হয়। ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে করোনার আতঙ্ক।

গত বছরের ২৪ মার্চ প্রথম সরকারের নির্বাহী আদেশের আওতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশ মাইকিং করার সময় একে লকডাউন বলে প্রচার করে।

সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও গণপরিবহণ ও মার্কেট শপিংমল সরকারিভাবে বন্ধ করা হয়নি। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে দিয়ে দোকান ও শপিংমল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে গণপরিবহণ ও লঞ্চ মালিকদের মাধ্যমে নৌযান চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৬ মার্চ থেকে এসব ঘোষণা কার্যকর করা হয়। ২৫ মার্চ বিকাল থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এভাবে জরুরি সেবা ছাড়া সারা দেশে ২৬ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এর থেকে সংশ্লিষ্ট পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ করা হয়।

করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রথম রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা দিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ৫ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় আরও ৭৩ হাজার কোটি টাকার পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এরপর বিভিন্ন সময় মোট এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

গত বছরের ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় এর মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। ১০ ও ১১ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির কারণে সব কিছু বন্ধ থাকে। ১০ এপ্রিল তৃতীয় দফা প্রজ্ঞাপন জারি করে ১২ ও ১৩ এপ্রিল ছুটি বাড়ানো হয়। ১৪ এপ্রিল ছিল নববর্ষের ছুটি। ১৩ এপ্রিল চতুর্থ দফা প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ছুটি বাড়ানো হয় ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

২৩ এপ্রিল পঞ্চম দফায় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ছুটি ২৬ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। ষষ্ঠ দফায় ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। তবে এই সময় ঈদুল ফিতরের কারণে কিছু শিথিল করা হয়। ১০ মে থেকে শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়।

সপ্তম দফায় ১৪ মে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ওই সময় পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ও মানুষের চলাচলের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২৯ মে থেকে প্রজ্ঞাপন জারি শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৩০ মের পর আর সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়নি। তবে মানুষের চলাচলের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পর্যটন খাত বন্ধ রাখা হয়। এ বিষয়ে গত বছরের ২৯ মে প্রজাপন জারি করে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে সব কিছু খুলে দেওয়া হয়। আসে ১৫ দফা নির্দেশনা। ১৫ জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। ১৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত কেবলমাত্র লাল জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। অন্য জোনে অফিস খোলা রাখা হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে ওই সময়ে সংক্রমণ ভেদে বিভিন্ন এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে বিভক্ত করা হয়।

২৯ জুন প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত নির্দেশনাগুলো আরও শিথিল করা হয়। ওই সময় সীমিত পরিসরে পর্যটন খাতও খুলে দেওয়া হয়। পরে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব কিছুই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা খাত ছাড়া সব ধরনের কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। মার্চের শেষ দিকে শুরু হয়ে যায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গত ৪ এপ্রিল দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথম প্রজ্ঞাপন জারি করে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে। দেওয়া হয় ১১ দফা নির্দেশনা। এর আগে থেকেই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার লকডাউন আরোপ করা হবে। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকেও বলা হয় লকডাউন আরোপের কথা। কিন্তু ৫ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এটাকে আমরা লকডাউন বলছি না। বলছি বিধিনিষেধ। সরকার লকডাউন দেয়নি। কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে।’ কিন্তু ওই দিন জারি করা প্রজ্ঞাপনে ‘কঠোর’ শব্দটি ছিল না। ছিল শুধু বিধিনিষেধ। এতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে আবারও বিধিনিষেধের মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ অবস্থায় ১১ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ১৩ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

চতুর্থ দফায় ২০ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে বিধিনিষেধের মেয়াদ ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে পঞ্চম দফায় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ২৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ৫ মে ষষ্ঠ দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়। এ সময় ঈদের কারণে মার্কেট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সপ্তম দফায় ১৬ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয় বিধিনিষেধের আওতা। অষ্টম দফায় ২৩ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৪ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে ২৪ মে থেকে সীমিত পরিসরে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। নবম দফায় ৩০ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ সময় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে সীমান্তগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে আঞ্চলিকভাবে বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

দশম দফায় ৬ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে এর মেয়াদ ৭ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। একাদশ দফায় ১৬ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে ১৭ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের আওতা বাড়ানো হয়। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সারা দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়। ফলে ঢাকাকে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা করতে ২১ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন আরোপ করা হয়। এতেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাচ্ছিল না। ফলে ২৩ জুন কোভিভ-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি দেশে ১৪ দিনের শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করে। এ সময় সরকারের নীতিনির্ধারকরা শাটডাউন আরোপের কথা প্রচার করতে থাকে। ফলে চলমান বিধিনিষেধের আওতায় আরও নতুন শর্ত যোগ করে ৩০ জুন দ্বাদশ দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই বিধিনিষেধের আওতা বাড়ানো হয়। এতে শাটডাউন শব্দটি ছিল না। ৫ জুলাই ত্রয়োদশ দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করে এর মেয়াদ ৮ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

চতুর্দশ দফায় ১৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। একই সঙ্গে ২৩ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যা এখন চলমান। এতে খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্য সব শিল্পকারখানা বন্ধ রাখা হয়। পরে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ৩০ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে ১ আগস্ট থেকে সব ধরনের রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হয়।
সূত্র যুগান্তর



বিষয়: লকডাউন


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top