ভারতের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী ২০২৩ ০০:৪৮; আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ০১:৪১
-2023-01-06-13-48-03.jpg)
ভারতের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশ তার সমস্যাগুলো প্রতিবেশীর সঙ্গে সমাধান করেছে। পানি চুক্তি বলেন, সীমান্ত চুক্তি বলেন, মেরিটাইম বাউন্ডারি (সমুদ্রসীমা) বলেন আমরা সবগুলো সমাধান করেছি। বড় প্রতিবেশী ভারত, একটাও গুলি ছোড়া হয়নি।’
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে শান্তি মশাল প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ‘পিস রান (শান্তি দৌড়) বাংলাদেশ ৬-৯ জানুয়ারি ২০২৩’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যদি অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করেন ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, সিরিয়া বলেন, সবদেশে খালি মারামারি-কাটাকাটি, আমাদের দেশে কোন মারামারি-কাটাকাটি নাই। আমরা সেটা নিয়ে গর্বিত বোধ করি। এটা সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার প্রিন্সিপালের (নীতি) কারণে সবার সঙ্গে বই বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। তবে শান্তি শুধু দেশে দেশে নয়, মানুষে মানুষে চাই।’
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই, আমরা বিশ্বাস করি যে, আলোচনার মধ্যে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে সেই আলোচনার জন্য মন মানসিকতাও দরকার। এই মন মানসিকতা সবাই মিলেই করতে হবে। আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং সেটার জন্য মানুষে মানুষে একে অপরের প্রতি যদি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়, তাহলে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়।
তিনি বলেন, ‘সকল মানুষ এক সৃষ্টির সন্তান এইটা যদি আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের পরিবেশটা সৃষ্টি হয়। আর পরিবেশ সৃষ্টি হলে নিশ্চয়ই আমরা আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করব। আমরা শান্তি চাই, বিশ্ব শান্তি চাই। আমরা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা চাই, আঞ্চলিক শান্তি চাই। আমরা চাই সকল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান।’
রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইংরেজি বছরের পহেলা দিনে যত মিশন (দূতাবাস) আছে যত অ্যাম্বাসেডর (রাষ্ট্রদূত) হাইকমিশনার অল অ্যাক্রস দা ওয়ার্ল্ড, ৮২ মিশন আছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা বসে ছিলাম। আমরা কী চাই সেটা ওদের বলেছি। আর তারা কীভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারে সেইটা আমরা জানতে চেয়েছি। আমরা বলেছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের একটা দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ইফেক্টিভ ইউজেস অব রিসোর্স। স্বল্প সম্পদ নষ্ট করে মানুষের কল্যাণে সবচেয়ে বেশি কিভাবে অর্জন করতে পারি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: