রাষ্ট্রপতি পদে যাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই: ওবায়দুল কাদের
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ ২১:৫১; আপডেট: ৪ মে ২০২৫ ০১:২৮
-2023-01-13-10-50-53.jpg)
রাষ্ট্রপতি পদে যাওয়ার যোগ্যতা তার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। খবর যুগান্তরের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আছেন, তিনি নিশ্চয় আলাপ-আলোচনা করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন। সময় হলে জানতে পারবেন। তবে আমি আমার নিজেরটা জানি, ওই পদে (রাষ্ট্রপতি) যাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো সমঝোতা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো সমঝোতা না। যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেহেতু ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেওয়া যুক্তিসংগত নয় বলে আমরা মনে করি। আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জামায়াতকে নিয়েই বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তা সবাই জানেন। জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকাই দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের আবার একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হলে জামায়াত ছাড়া তাদের (বিএনপি) চলবে না।
ফরিদপুরে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ নিয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বুধবার কোথাও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফরিদপুরে যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। সমাধান হয়ে গেছে। আর ময়মনসিংহে স্পটে কিছু হয়নি। তবে তাদের গাড়ি নাকি আক্রান্ত হয়েছে। ঢিল ছুড়েছে, এ রকম কিছু হয়েছে। ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির সঙ্গে পালটা কোনো কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। পরের দিন ১১ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি ছিল। মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ আমাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ, অন্য সহযোগী সংগঠন, মফস্বলের উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এটি সবসময় হয়ে আসছে। এখানে পালটাপালটির কোনো বিষয় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, আমাদের বিক্ষোভ করার কিছু নেই। তবে শান্তি সমাবেশ করব। শান্তির শোভাযাত্রা করব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব।
তিনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি) কর্মসূচি দিতে পারে, তাদের দফা আছে। একবার বলে দশ দফা আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম, ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়? পরিণতি আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি। অতিবাম, অতিডান মিলেমিশে একাকার।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের তো কোনো নেতা নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদের সভাপতি। তিনি আমাদের পরবর্তী নির্বাচনের নেতা। তাদের কে? তারা কখনো বলে বেগম জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা।
কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। তারা অভিযুক্ত আসামি। কাকে তারা নেতা বানাবেন? গতবার কামাল হোসেন ছিলেন। পরে তাদের মানসম্মানও বিঘ্নিত হয়ে গেছে। সবাই জানেন, শেষ পর্যন্ত তিনিও (কামাল) হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: