নওগাঁয় ১ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৩; আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

ছবি: সংগৃহিত

জেলায় ১হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

বর্তমানে বাজারে কৃষক পর্যায় থেকে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছতে পটলের মূল্যর পার্থক্য কেজি'তে ২০ টাকা ।

কৃষি বিভাগ বলছে, খুব শিঘ্রই শীতকালীন পটল বাজারে এলে সাধারণ ভোক্তাদের হাতের নাগালে চলে আসবে পটল। খবর বাসসের ।

জেলায় খরিপ-১ গ্রীষ্মকালীন পটল চাষ হয়েছে ১ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে। উল্লেখিত পরিমাণ জমি থেকে মোট পটল উৎপাদিত হয়েছে ২৩ হাজার ৪৭০ মেট্রিক টন।

জেলার সদর উপজেলা, বদলগাছি উপজেলা এবং মান্দা উপজেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে পটল চাষ হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে বিগত খরিপ-১ গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে, বদলগাছী উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে এবং মান্দা উপজেলায় ২৬০ সেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

এছাড়াও রানীনগর উপজেলায় ১০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ২০হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ৮০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৬০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৮০ হেক্টর সাপাহার উপজেলায় ২৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৩৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে।

জেলার বদলগাছি, কোলা, ভান্ডারপুর, মাতাজি হাট, প্রসাদপুর, তেতুলিয়া, কীর্তিপুর, গোবর চাপা, দেলুয়া বাড়ি ইত্যাদি হাট সমূহে বর্তমান বাজার অনুযায়ী পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি মন পটল ১৬০০ টাকায় সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করছেন। এতে প্রতি কেজি পটলের মূল্য পড়ছে ৪০ টাকা। এসব পটল পাইকারি ব্যাবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের নিকট থেকে প্রতি কেজি পটলের মূল্য আদায় করছেন ৬০ টাকা।

আজ সোমবার জেলা সদরের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পটল ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। উৎপাদনকারী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পটলের মূল্য প্রতি কেজি ৪০ টাকা পেলেও ভোক্তাদের তা কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, আসন্ন শীত মৌসুমে জেলায় ৯ হাজার ৫শ ৫৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ ৬৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করেছেন কৃষকরা। শীতকালীন পটল বাজারে আসতে শুরু করলেই পটলের দাম কমে যাবে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top