মুক্তি মিলল সেফহোমে থাকা ভুক্তভোগী ও তার শিশুর

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ০২:২৭; আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ০৫:৩৬

সেফ হোম থেকে ভুক্তভোগীর প্রস্থান।

হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি মিলল এক মাস বয়সী সন্তানসহ রাজশাহীর সেফহোমে থাকা ভুক্তভোগীর। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে ভুক্তভোগী ও তার সন্তানকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তাকে গ্রহণ করেন ছেলের বাবা সাইদুর রহমান। । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় শিশুটির বাবা মো. মিন্টু মিয়াকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন আদালত।

আদালতের পক্ষে থেকে প্রদত্ত নির্দেশে বলা হয়, ভুক্তভোগী তার ইচ্ছা অনুসারে চাইলে বাবা-মা বা স্বামীর কাছে যেতে পারবেন। ভুক্তভোগীর ইচ্ছায় বুধবার শ্বশুরের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান মিন্টু। আপিল শুনানি শেষে ৭ জানুয়ারি ওই আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে মিন্টু মিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. শওকত উল্লাহ খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিন্টুসহ (২১) তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের জুনে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। উদ্ধারের পর ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর মেয়েটি ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

যেখানে বলা হয়, মিন্টু জোর করে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে ও শারীরিক সম্পর্ক করে। একই দিন মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা হয়। অবশ্য মেয়েটির ভাষ্য, তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ও তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যমতে, মেয়েটি উদ্ধারের পর থেকে তার বাবার কাছেই ছিল। তবে সন্তান হওয়ার পর তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মিন্টু তার স্ত্রীকে নিজ হেফাজতে নিতে আবেদন করেন। ওই আবেদন নামঞ্জুর করে শিশুসহ ভুক্তভোগীকে রাজশাহীর সেফহোমে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ওই মামলায় বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত বছরের নভেম্বরে আত্মসমর্পণ করে মিন্টু জামিন চান। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিচারিক আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সেফহোমের তত্ত্বাবধায়ক লাইজু রাজ্জাক জানান, হাইকোর্টের শুনানিতে গাজীপুরের মাওনায় অবস্থিত কাজী অফিসে এক লাখ টাকা দেনমোহরে মিন্টু ও ভুক্তভোগীর বিয়ে হয় বলে শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান। তাদের সন্তান হয়েছে, যার বয়স এক মাস বলে উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্ট মিন্টুকে এক বছরের জামিন দেন। রাজশাহীর সেফহোমে থাকা এক মাস বয়সী শিশু ও তার মাকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন। সেফহোমে পাঠানো সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের কপি ১০ জানুয়ারি হাতে পাওয়ার পর সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার মেয়ে ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়।


  • এসএইচ


বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top