অভিযুক্ত বিএনপি নেতার পুত্র

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিচারকের পুত্রের মৃত্যু 

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭; আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৭

   অভিযুক্ত যুবক লিমন মিয়া (ছবি: সংগৃহীত)

রাজশাহীতে চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনায় বিচারকের পুত্র ওসিফ রহমান সুমনের (১৬) মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হয়েছে ময়নাতদন্তে জানা গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার শরীরের তিনটি স্থানের রক্তনালি কেটে গেলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ তীব্র হয়ে উঠে। 

আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত করতে প্রায় ৩০ মিনিট লাগে।

ময়নাতদন্তের সময় নিহত তাওসিফের বাবা রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুররহমান বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কফিল উদ্দিন বেরিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। কফিল উদ্দিন জানান, তাওসিফের ডান ঊরু, ডান পা ও বাঁ বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এ তিনটি জায়গায় রক্তনালি আছে। সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। তারা মনে করছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, ‘নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে দাগটি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে বলেও জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

 উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ। হামলাকারী লিমন মিয়া (৩৫) তাদের পূর্বপরিচিত। একই সময়ের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী (৪৪)। এ ছাড়া ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

অভিযুক্ত যুবক লিমন মিয়া (৩৫) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনের পাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার এইচ এম ছোলায়মান হোসেন শহীদের ছেলে তিনি। শহীদ মিয়া ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিমন ‘জিয়া সাইবার সোর্স’-এর জেলা কমিটির সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top