পাঁচ জনকে জয়িতার সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩৮; আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৫১

‘আগামীতে নারীদের পেশাগত যোগ্যতা আরও বৃদ্ধি করতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সর্বক্ষেত্রেই আজ নারীরা এগিয়ে এসেছে। সরকার প্রধানের সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফলে নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি সমান অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে।’

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ-২০১৯ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এসব তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহীর মহিলা বিষয়ক অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেছিলেন- দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারী উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে তিনি নারীদের মর্যাদা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরঙ্গনার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে নির্যাতিতাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। সমাজে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কৌশল ও নীতি প্রণয়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া শুরু হয়।
এদিকে চলতি বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ জন নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে চুড়ান্ত ফলাফলে ১০ জনের মধ্য থেকে পাঁচ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ও রাজশাহী মেট্র্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাজিদ হোসেন।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top