নাগালের বাইরে মৌসুমী ফল তরমুজ

রাজশাহীতে অতিরিক্ত দামের কারণে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে মৌসুমী ফল তরমুজ। রাজশাহীর খুচরা বাজার গুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রী হচ্ছে প্রকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে নগরীর বাজারগুলোতে তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এদিকে নগরীর আড়ত গুলোতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে নির্দেশ দেন।

তিব্র তাপদাহ আর পবিত্র রমজান উপলক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে মৌসুমী ফল তরমুজের যথেষ্ট চাহিদা থাকে। কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের কারণে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে তরমুজের দাম। এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি তরমুজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহের ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজির তরমুজ এখন কেজিপ্রতি বিক্রী হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এতে করে রমজানে তরমুজ নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ের বাইরে। এদিকে রাজশাহীতে এখন থেকে আর কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না বলে কয়েকটি আড়তকে সতর্ক করেছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তে গুলোতে গিয়ে এ কথা জানান।
রাজশাহীর পাইকারী বাজার গুলোতে দুই হাজার টাকা মণ দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা তা কিনে বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন। রাজশাহীর আড়তে তরমুজ আসে বরগুনা, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে।

চাহিদা থাকায় সিণ্ডিকেট করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ নগরীর শালবাগানে তরমুজের আড়তগুলোতে যান। এসময় তাঁদের দেখে কোন কোন আড়ৎদার আড়তের বেড়া লাগিয়ে পালিয়ে যান। তবে কর্মকর্তারা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। আগামীকাল বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।

এসময় আড়ৎদারেরা বলেন, কেজিদরেই তরমুজ বিক্রি করলে যে দাম কমবে ব্যাপারটি তা নয়। বরং তাঁদেরকে যদি কেজিদরেই বিক্রি করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে একটু সময় নিয়ে তাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে জানান। এর পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাইকারী বাজারে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে নির্দেশ দেন।