নিজ থেকে উধাও হলে শাস্তি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২২ ০৭:০৫; আপডেট: ৬ মে ২০২৪ ১১:০০

ছবি : প্রতিকী

কিছু না জানিয়ে হুট করে যোগাযোগ বন্ধ করলে পাওয়া যাবে না নিস্তার। কেউ এমনটি করলে তাঁকে অপরাধী হিসেবে ধরা হবে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হবে মানসিক আঘাত দেওয়ার অভিযোগ। এমনই একটি আইন প্রণয়ন করতে ফিলিপাইনের পার্লামেন্টে প্রস্তাব এনেছেন এক আইপ্রণেতা। হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করাকে তিনি বলেছেন, ‘ভূতের মতো উধাও হয়ে যাওয়া’।

সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট–এর বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপাইনের ওই আইপ্রণেতার নাম আরনলফো তেভেস জুনিয়র। তাঁর ভাষ্যমতে, যে ব্যক্তির সঙ্গে হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তিনি মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়েন। তাঁর মনে হয়, তাঁকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তিনি অবহেলার শিকার।

পার্লামেন্টে গত মাসে আইন প্রণয়নের ওই প্রস্তাব আনেন আরনলফো তেভেস। বিষয়টি অবশ্য সামনে এসেছে গত সপ্তাহে। আরনলফো মনে করেন, যোগাযোগ বন্ধের মধ্য দিয়ে একজনকে অবমাননা করা হয় বলে বিবেচনা করা উচিত। এই কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রস্তাবে আরনলফো বলেন, আধুনিক বিশ্বে হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া মতো ঘটনা বেড়েছে। কারণ, প্রযুক্তির কারণে বর্তমানে দুজনের সম্পর্কের ধরন বদলে গেছে। এর জেরে বন্ধু বা সঙ্গীর অনুভূতির কোনো তোয়াক্কা না করেই সম্পর্কে ইতি টানছেন অনেকে।

নিজের যুক্তি জোরালো করতে গবেষণার বরাত দিয়েছেন ফিলিপাইনের এই আইনপ্রণেতা। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিকভাবে কাউকে প্রত্যাখ্যান করা হলে শারীরিক ব্যথার মতো মস্তিষ্কে একই ধরনের ব্যথা হয়। এর অর্থ, প্রত্যাখ্যান ও ব্যথার মধ্যে একটি জৈবিক যোগসূত্র আছে। এই প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটতে পারে বন্ধুবান্ধব ও জীবনসঙ্গীদের সঙ্গেও।

বিষয়টি নিয়ে আরনলফো তেভেসের সঙ্গে আলাপচারিতা হয়েছে সিএনএনের। সেখানে তিনি বলেন, একজনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের মাধ্যমে যে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়, তা দেশের উৎপাদনশীলতার জন্যও ক্ষতিকর। কারণ, একজন কর্মীর মানসিক অবস্থা যদি ভালো না থাকে, তাহলে তাঁর কাজের ওপর প্রভাব পড়বে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top