রাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ৭ জন ‘প্রক্সিদাতা’ আটক

রাবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩ ০১:১৬; আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:০৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষের 'এ' ইউনিটে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ মোট ৭জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ৯টায় ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটে ও বেলা ১১টায় দ্বিতীয় শিফটের প্রক্সি দিতে এলে ৩ জনকে আটক করা হয়। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।

এর আগে সকাল ৯টায় ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির অভিযোগে তিন জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আটককৃত সকালে ৩ জন হলেন, মো. হোসাইন, মো. স্বপন হোসাইন ও আব্দুর রাকিব। মো. হোসাইন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আফজালপুরের কাওছার হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ৪২৪ নং কক্ষের মো. জাহিদ আল হাসান সিয়ামের (রোল-২১৬০২) হয়ে প্রক্সি দেন।

অন্যদিকে মো. স্বপন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার চকগপিনাথ গ্রামের মোজাম্মেল হোসাইনের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের ১৩৫ নম্বর কক্ষের তানভীর আহমেদ নামে (রোল-২৪০৯৬) এক পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

মো. আব্দুর রাকিব (রোল-৪০৯৪৩) জয়পুরহাট জেলার কালায় থানার উওর পাকুরিয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার ছেলে। সে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে ৩৩৭ নং কক্ষে নিজের ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন।

অপরদিকে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলা তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ একাডেমিক ভবনে ২৩৪ নম্বর কক্ষের মাইনুল ইসলামের (রোল-৫৬৯৫৯) প্রক্সি দেন মো. বিদুৎ হাসান এবং একই ভবনে ৪৩৮ নম্বর কক্ষের তানভীর আহমেদের (রোল- ৫৮৩৯৭) হয়ে প্রক্সি দেন মো. এনামুল হক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী। আর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তাদের তথ্য এখনো জানা যায়নি।

প্রক্টর বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রে সন্দেহ হলে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আইসিটি সেন্টারে নিয়ে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করলে প্রক্সির বিষয়টি জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার কাজ প্রক্রিয়াধীন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সব শিফটের পরীক্ষা শেষ হলে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top