রাজনীতিবিদরা সামনে বড় কথা বলে, ভিতরে অভ‍্যন্তরীন বোঝাপড়া চলে: সারজিস আলম

ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৫ ২০:২৭; আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ০৫:২৭

- ছবি - ইন্টারনেট

উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, রাজনীতিবিদরা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট যারা আছে তারা যেটা দেখিয়েছে সেটা পুরোটা সত্য নয়। সেটাই দেখিয়েছে যেটা তারা দেখিয়েছে। কিন্তু একচুয়ালি যেটা ঘটেছে সেটা তারা দেখায় নি।

আমরা দেখেছি রাজনীতিবিদরা সামনে এসে বড় বড় কথা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাদের ইন্টারনাল বোঝাপড়া চলছে। রাজনীতিবিদদের বাইরে এসে একে অপরের বিরুদ্ধে অনেক বড় কথা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে একসাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায়।

বুধবার (৯ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় নাগরিক পার্টির বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে পদযাত্রা ও পদসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ এবং গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন। 

সারজিস আলম বলেন, সরকারের পক্ষে একটা পুরাতন স্টাবলিশমেন্ট এটাকে পরিবর্তন করার ছোট্ট একটা অংশ। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতাকে সেভ দিয়ে এটাকে কমপ্লিট করা। পুরাতন যারা ছিল স্টাবলিশমেন্ট তারা একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভাগ বাটোয়ারা পার্সেন্টেজটা শুধু চেঞ্জ করে। আগে ছিল ৩০-৭০ এখন হয়েছে ৭০-৩০। কিন্তু আগের মতো সব কিছু চলে, চাঁদাবাজি চলে, লুটপাট চলে, দখলদারিত্ব চলে, মাদকের ব্যবসা চলে, কালো টাকার বিশাল বড় বিজনেস চলে।

তিনি আরো বলেন, এই লড়াইটাকে রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে শুরু করতে হয়েছে, কারণ আমরা যদি বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে এটাই তিক্ত সত্য যে আপনি একটা স্বেচ্ছাসেবী হোক কিংবা একটা ভলান্টিয়ারিং কোন প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রাজনৈতিক দলকে আগামীতে কোনো ঘটনা ঘটাতে পারবেন না। আপনাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না। আমাদের মনে হয়েছে, এই লড়াইটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। আমার আহ্বান হচ্ছে আমরা জুলাইয়ের যে সাহস,যে পাওয়ার থেকে যাওয়ার পরে মাথা উঁচিয়ে করে দাঁড়ানো, এটা যেন ভুলে না যাই।

জণগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি কাউকে দেখেন যে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ভুল পথে হাঁটছে, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, বাংলাবাজি, লুটপাট, ঘুষখোরি, মাদকের বিরুদ্ধে কালো টাকা থেকে শুরু করে অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, সেটা যে কেউই হোক না কেন, যত বড় দলী হোক কিংবা আমাদের মত কোনো যদি সহযোদ্ধা হয়, আপনারা তাদের বিপক্ষে চৌকসভাবে আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে। যেদিন আমরা কোন একটা দল, ব্যক্তি কিংবা বসকে আবার ভয় পাওয়া শুরু করব, প্রশ্ন করা থামিয়ে দিব, কথা বলা বন্ধ করে দিব, এই দিন থেকে আরেকজন ফ্যাসিস্ট তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top