রাজশাহী নগর জামায়াতের
আমীর ড. কেরামত আলী ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯; আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৭
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর ২০২৫-২৬ সেশনের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির মাওলানা ড. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও রাজশাহী অঞ্চল সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
অধিবেশনে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য নতুন কর্মপরিষদ সদস্যসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল নির্বাচিত হয় এবং মহানগরী আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী দায়িত্বশীলদের শপথ বাক্য পাঠ করান। রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির নির্বাচিত হন যথাক্রমে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন ও এডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম। মহানগরী সেক্রেটারি নির্বাচিত হন মু. ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, সহকারী সেক্রেটারি নির্বাচিত হন যথাক্রমে অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন ও অধ্যাপক আব্দুস সামাদ। সাংগঠনিক সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হন জসিম উদ্দিন সরকার। এছাড়াও কর্মপরিষদে ২৩ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের জনগণের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে জামায়াতে ইসলামীর উপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। জামায়াতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় রাজশাহীর এই ময়দানে ইসলামের সু-মহান আদর্শকে বিজয়ী করতে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী শুরা দ্বায়িত্বশীল ভাইদের সকল সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্তের বাহিরে বা কেন্দ্রীয় সংগঠনের অনুমোদের বাহিরে বিশেষ কোন বক্তব্য দেয়া ঠিক নয়। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ইসলামপন্থিদলসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের মধ্যে কোন ভাবেই বিভেদ তৈরি করা যাবে না। আওয়ামী স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর সকল যড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কেরামত আলী বলেন, ছাত্র জনতার কাঙ্খিত বিপ্লবকে সফল করার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। সব সময়ই একটি সুবিধাবাদী শ্রেণী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই দায় জামায়াতের ঘারে চাপাতে চায়, এজন্য নব নির্বাচিত দায়িত্বশীলদের সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে এবং দুর্বৃত্তদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। এদেশের মানুষের বিপদ-আপদ ও দুর্যোগে জামায়াতে ইসলামী সব সময় তাদের পাশে থেকে সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: