সাত ট্রলারডুবি: ৬৭ জেলে উদ্ধার, নিখোঁজ ৬

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৫০; আপডেট: ৫ মে ২০২৪ ১৬:৫১

ছবি: সংগৃহীত

ভোলার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে সাত জেলে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬৭ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনো ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঝড়ের কবলে পড়ে এ ঘটনা ঘটে।

সাত ট্রলারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ৩টি, সাগরের মোহনায় ২টি, দৌলতখানের মেঘনায় ১টি ও সদর উপজেলার তুলাতলি মেঘনা নদীর মাঝের চর সংলগ্নে একটিসহ মোট ৭ জেলে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।

৭ ট্রলারডুবির মধ্যে ৬টি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে ডুবেছে। অপর একটি ডুবেছে কার্গো জাহাজের ধাক্কায়। মনপুরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম কামরুল ও ইলিশা নৌ-থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে মনপুরা থানা এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ ধরার পাঁচটি ট্রলার মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগর ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবে যায়।

৫ ট্রলারের মধ্যে একটি মনপুরা উপজেলার হাজির হাট এলাকার মাইনুদ্দিন মাঝির, একটি হাজির হাট এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ মাঝির, একটি উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের জসিম মাঝির, একটি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ইউনুস বলির ও অপরটি ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের।

এর মধ্যে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান, ইউনুস বলি ও মাইনুদ্দিন মাঝির ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ডুবেছে। হাফেজ ও জসিম মাঝির ট্রলার ডুবেছে সাগরের মোহনায়।

মাইনুদ্দিন মাঝির ২২ জেলে, হাফেজ মাঝির ৮ জেলে, জসিম মাঝির ৮ জেলে, ইউনুস বলির ১০ জেলের সবাই উদ্ধার হলেও ট্রলার উদ্ধার হয়নি। আর আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ১০ জেলের মধ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো তার ট্রলারের ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।

এ ছাড়াও দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মো. মহিউদ্দিন মাঝির একটি ট্রলার পাঁচ জেলেসহ ডুবে গেছে। পরে স্থানীয় জেলেরা ট্রলারসহ সবাইকে উদ্ধার করেছে।

সদর উপজেলার তুলাতলি মেঘনা নদীর মাঝের চর এলাকায় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ১০ জেলেসহ মো. শাহাবুদ্দিন মাঝির একটি ট্রলার ডুবে গেছে। ১০ জেলের সবাই সাঁতরে অন্য ট্রলারে উঠে তীরে এসেছে ট্রলারটি মুহূর্তের মধ্যে ডুবে গেছে।

ছয় জেলে নিখোঁজ থাকা ট্রলারের মালিক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত তার ট্রলারের চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় নিখোঁজ ৬ জেলের সন্ধান পাননি।

মনপুরা থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জহির জানান, মনপুরার জেলেদের ৫ ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৬৭ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনো আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ট্রলারের ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তাদেরকে সাগরে খোঁজা হচ্ছে।

ইলিশা নৌ-থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান জানান, মেঘনায় দুইটি জেলে ট্রলারডুবির ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় কোনো নিখোঁজ নেই। এদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিকাল থেকে ভোলা লক্ষীপুর রুটের ফেরি বন্ধ চলাচল বন্ধ রয়েছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top