পদ্মায় এক বছরে পানিপ্রবাহ কমেছে ১৫ হাজার কিউসেক

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪:২৩; আপডেট: ৩ মে ২০২৪ ১০:২৯

ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৬ সালে ৩০ বছর মেয়াদি ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পাবনার হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে ভারতীয় প্রতিনিধি দল পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছে। ১ ও ২ জানুয়ারি দু’দিন হার্ডিঞ্জ ব্রিজের চার হাজার ফুট উজানে প্রতিনিধি দল পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করেন।

১ জানুয়ারি পানি পরিমাপ করা হয় ৭৫৪০৯ কিউসেক এবং ২ জানুয়ারিতে ছিল ৭২৯৬৯ কিউসেক। হিসাব অনুযায়ী গত ১ বছরে পানিপ্রবাহ কমেছে ১৫ হাজার কিউসেক। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অঙ্কিত দুদেজা ও সহকারী পরিচালক মুকেশ কুমার শর্মা। ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আঞ্চলিক হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রেজাউল করিম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেনসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

ইলিয়াস হোসেন জানান, ভারতীয় পর্যবেক্ষক দলের দুই প্রতিনিধি ১ ও ২ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষ কার্যক্রম চলমান থাকবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রিয়াদুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানিপ্রবাহ পরিমাপ শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মায় পানিপ্রবাহের পরিমাণ ছিল ৯০৭৩০ কিউসেক। আর ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পানি প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৭৫৪০৯ কিউসেক। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে পদ্মায় পানি প্রবাহ কমেছে ১৫৩২১ কিউসেক। জেআরসি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয় ৭৮২৪৪ কিউসেক, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয় ১১৮০২০ কিউসেক, ২০২৩ সালে পানির প্রবাহ ছিল ৯০৭৩০ কিউসেক ও ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয় ৭৫৪০৯ কিউসেক।

ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছরই গঙ্গা ও পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে পানির স্তর পরিমাপ করেন। উভয় দেশের পানির প্রবাহের যৌথ পর্যবেক্ষণ চলবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম চক্রে ফারাক্কা পয়েন্টে পানির স্তর ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম হলে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই ৫০ শতাংশ পানি পাবে।

দ্বিতীয় চক্রে বাংলাদেশ পাবে ন্যূনতম ৩৫ হাজার কিউসেক বাকি অংশ পাবে ভারত। ফারাক্কা পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক থাকলে শেষ চক্রে ভারত পাবে ন্যূনতম ৪০ হাজার কিউসেক এবং বাকি পানি পাবে বাংলাদেশ।

তথ্যসূত্র : দৈনিক নয়াদিগন্ত 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top