বাড়ছেনা আয়কর রিটার্নের সময়

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০৬:১৮; আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০৬:২১

আয়কার রিটার্ন দাখিলের সময় এবছর আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বরই (সোমবার) থাকছে।

আবু হেনা বলেন, নির্ধারিত সময়ে যারা আয়কর রিটার্ন দিতে পারবেন না, তারা সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করতে পারবেন। তবে ২ শতাংশ জরিমানার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। গ্রাহক সঠিক সময়ে কেন রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে জরিমানা মওকুফ করা হবে। কমিশনারের কাছে যদি কারণ যৌক্তিক মনে না হয়, তবে জরিমানা গুনতে হবে।

রবিবার সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এনবিআর চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের চেয়ে এ বছরের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন বেড়েছে ৬৩ হাজার ১৯৯ টি। তবে একই সময়ে আয়কর কমেছে ১৯৩ কোটি টাকা।

আয়কর আইন অনুযায়ী উপ–কর কমিশনার করদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্ন জমা দিতে দুই মাস সময় দিতে পারেন। তবে করদাতাকে সেই ক্ষেত্রে ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়।

চলতি বছর ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত দাখিল করা রিটার্নের সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫। গত বছর একই সময়ে দাখিল করা আয়কর রিটার্ন ছিল ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৬ টি। সে হিসাবে রিটার্ন বেড়েছে ৬৩ হাজার ১৯৯ টি। এ বছর ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নের সঙ্গে কর পরিশোধ হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে রিটার্নের সঙ্গে কর পরিশোধ হয়েছিল ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। সে হিসাবে কর পরিশোধ কমেছে ১৯৩ কোটি টাকা।

আয়কর রিটার্ন আরও কীভাবে সহজ করা যায়, সে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এ বছর থেকে এক পাতার রিটার্ন করা হয়েছে, যাতে করদাতা সহজে রিটার্ন দিতে পারেন। করোনার কারণে এ বছর আয়কর দিবসের র্যালি হচ্ছে না। তবে আলোচনা সভা হবে জুমে। এ বছরের আয়কর দিবসে প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে স্বচ্ছ ও আধুনিক করসেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।

এদিকে কয়েক বছর আগেও প্রতিবার রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হতো। কিন্তু ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে আরেকটি উপায় ছিল। গত বাজেটের আগে করোনা মহামারি বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন।

ওই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এনবিআর চাইলে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের যেকোনো জরিমানা ও সুদ মওকুফ করে দিতে পারবে। বাজেট অধিবেশনে এনবিআরের এই ক্ষমতাকে আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪ (জি) ধারা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। তাই এনবিআর এখন চাইলে সময় না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জরিমানা ও সুদ মওকুফ করলেই সময় বৃদ্ধির কাজটি হয়ে যাবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top