সংস্কারে মার্কিন সহযোগিতা চাওয়া হবে, বললেন অর্থ উপদেষ্টা
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:০০; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০২:১৮

দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সংস্কার কাজে তাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে, বলে মন্তব্য করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর মিলনায়তনে অর্থ আইন ২০২৪ এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে আনা পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ট্যাক্সেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা। আর এ জন্যে দরকার রাজস্ব বোর্ডকে কর আদায়ের একটা লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা। কর কাঠামোতে বৈষম্য থাকা যাবে না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নিজের জন্যে না হলেও দেশের স্বার্থে সবাই কর দিতে হবে। কর কাঠামোতে বৈষম্য থাকা যাবে না।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশটির অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। তিন দিনের সফরে শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো ঢাকায় এলো যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের এ প্রতিনিধি দল। দলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, অর্থ দপ্তর, ইউএসএআইডি এবং বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু থাকছেন এ দলে। তবে ডোনাল্ড লু সরাসরি ওয়াশিংটন থেকে ঢাকা আসছেন না। তিনি ঢাকা আসবেন দিল্লি হয়ে। সেখানে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন ওয়াশিংটন ও দিল্লির মধ্যকার প্রতিরক্ষাবিষয়ক ইন্টারসেশনাল সংলাপে। সে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ঢাকা, দিল্লি ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন চাচ্ছে, অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ যেন আবারও ঘুরে দাঁড়ায় এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বিস্তৃত ও বহুমুখী আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা। মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বৈঠকে মূলত বাংলাদেশের বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতার বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। আসতে পারে তাৎক্ষণিক সহযোগিতার ঘোষণা। আর দীর্ঘ মেয়াদে সহযোগিতার বিষয়গুলো দলটি ওয়াশিংটন ফিরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে। সফর থেকে তারা মূলত জানতে চাইবে বাংলাদেশের চাহিদাগুলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন ইন্টার-এজেন্সি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে যোগ দেবেন লু। কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের চাহিদায় সহযোগিতা করতে পারে– তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে প্রতিনিধি দলটি। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: