‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি’

কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৯:২২; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১৪:৫০

নির্বাচন কর্মকর্তারা একটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট গণনা করছেন। ছবি: সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় কম্বোডিয়ায় ভিসা নিষেধাজ্ঞার আরোপের সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র।

রোববারের (২৩ জুলাই) সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণা করেছে। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা কম্বোডিয়ায় কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কার্যকর কোনো বিরোধী দলের মুখোমুখি না হওয়ায় ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন।

মিলার বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানির ধারায় লিপ্ত হয়েছে। এটি দেশটির সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার বন্ধ এবং সরকারের সমালোচকদের দোষী সাব্যস্ত করা বন্ধ করতে এবং দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান উন্নত করার জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমকে হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কম্বোডিয়ার নির্বাচনে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল না। ৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়া শাসন করা স্বঘোষিত 'শক্তিশালী নেতা' হুন সেন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। জেল জুলুম ও মামলা দিয়ে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রাখা হয়েছিল। সবাই নিশ্চিত ‘নামমাত্র’ এ ভোটে আবারও জয়ী হয়েছেন হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি টানা ৩৮ বছর শাসন করছেন কম্বোডিয়ার ‘গণতান্ত্রিক মডেলের স্বৈরশাসক’ প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই নামমাত্র ‘গণতান্ত্রিক’ শাসক ১৯৮৫ সাল থেকে তার ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর একের পর এক কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছেন। এমনকি দেশের আদালতকেও ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে।

সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ গোয়েন্দা গোষ্ঠীকে রেখেছেন হাতের মুঠোয়। সংসদ সদস্যদের পদমর্যাদা থেকে সরিয়ে দেওয়াসহ নেতাদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার এবং নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top