মহামারী মোকাবেলায় আবারো মানবহত্যায় কিম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ২১:৩০; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৯
-2020-11-29-15-30-21.jpg) 
                                ভিন্নধর্মী বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বরাবরই আলোচনায় থাকে উত্তর কোরিয়া। মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আবারো মানুষ হত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে দেশটি।
মহামারী মোকাবেলায় সরকারের জারি করা বিধান ভঙ্গ করায় ইতিমধ্যে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) খবরটি ফাঁস করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় গুপ্তচর সংস্থা ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিস (এনআইএস)।
সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, প্রাদুর্ভাবের নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়েও লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সমুদ্র থেকে মাছ ধরা ও লবণ তৈরি। এমনকি উত্তর কোরিয়ার জনগণের বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপরও কড়া নজর রাখছে সরকার। এক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নয়া বিধিনিষেধ।
ভাইরাসটি মোকাবেলায় চড়া মেজাজে আছেন কিম। তেমনটাই জানান দক্ষিণ কোরিয়ার এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হা তি কিউয়াং। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং করোনা মহামারি নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। আর্থিক পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব আটকাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি।
সংস্থাটি সূত্রে আরো জানা যায়, গত মাসে দেশের মুদ্রা বিনিময় মূল্য বা মানি এক্সচেঞ্জ রেট পতনের জন্য এক মানি এক্সচেঞ্জারকে দায়ী করেন কিম জং।
ক্ষুব্ধ কিম এ ক্ষেত্রেও নিয়েছে কড়া পদক্ষেপ। সেই অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন তিনি। এমনকি সরকারি নিয়মভঙ্গ করে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করায় খুন করা হয় এক সরকারি কর্মকর্তাকেও। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দেশটিতে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে মাছ ধরা, লবণ তৈরির মতো কাজ। সমুদ্রের পানিতে জীবাণু থাকার আশঙ্কায় এমনটাই করা হয়েছে। পিইংইয়ংএ জারি হয়েছে কড়া লকডাউন। তবে সে দেশের অন্যত্র এই নিয়ম জারি করা হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, কিম প্রশাসনের দাবি তাদের মাটিতে একজনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। কিন্তু তাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা। বরং তাদের অভিযোগ, সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় করোনা আক্রান্তদের রীতিমতো খুন করছে কিমের প্রশাসন। ফের একবার সেই অভিযোগই করল দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা।
- এসএইচ

 
                                                     
                                                    -2020-11-07-15-36-42.jpg) 
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: