বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নতজাত নিতে চায় নেপাল

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:০৩; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৩৯

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নতজাত নিতে চায় নেপাল। সেই সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় দেশটি। ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব মাকছুমা আকতার, ঢাকার নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। কৃষির অগ্রগতির ফলেই দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান অব্যাহত রয়েছে। দেশে ১০০টির বেশি উন্নত জাতের ধান ও প্রযুক্তি রয়েছে; এর মধ্যে অনেকগুলো মেগা ভ্যারাইটি। নেপাল এ জাতগুলো বাংলাদেশে থেকে নিতে পারে। এছাড়া দুদেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারকে’ বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র বলেন, নেপালের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। কিন্তু নেপাল চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; বরং বছরে অনেক চাল আমদানি করতে হয়। সেজন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চাল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি ধানের জাত নেপাল নিতে চায়। এছাড়া বিভিন্ন ফসল, বীজ, উন্নতজাত, প্রযুক্তি, গবেষণাসহ কৃষির বিভিন্নক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য ‘সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষর করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র আদা, এলাচিসহ গরম মসলা বাংলাদেশে সরাসরি রপ্তানির আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমানে ভারত হয়ে এসব পণ্য বাংলাদেশে আসে। ফলে বাংলাদেশে দাম অনেক বেড়ে যায়। সরাসরি বাংলাদেশে আসলে দাম অনেক কম পড়বে।

অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের পিটিএ চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যাবে। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কানেক্টিভিটিকে আরো শক্তিশালী ও বাড়াতে উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে নেপাল ভুটানের সঙ্গে পিটিএ চুক্তি সই করেছে। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিটি সই হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top