বাংলাদেশের কাছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রির প্রস্তাব রাশিয়ার

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২ ০৫:৪৭; আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৩

ছবি: প্রতীকী

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়েছে রাশিয়া। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের কাছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি করতে চায় দেশটি। তবে রাশিয়া থেকে তেল কেনা হবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।

ঢাকার বিদ্যুৎ ভবনে সোমবার একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে তেল বিক্রির প্রস্তাব এসেছে। বিশেষ করে ক্রুড অয়েলের কথা বলছে তারা। আমরা সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি।’

যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করত রাশিয়া। এর অর্ধেকের বেশি যেত ইউরোপে। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে অবরোধ আরোপের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে ইউরোপ। রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি বন্ধের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রও।

অবশ্য সংকটকালে রাশিয়ার তেল কিনতে এগিয়ে আসে মিত্র দেশ ভারত। মূল্য ছাড়ের সুযোগে বাড়তি তেল কেনা শুরু করে দেশটি। এ তালিকায় আছে চীনের নামও। কিন্তু পণ্য কেনার পর দাম পরিশোধ নিয়েও আছে জটিলতা। সুইফটে নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারে দাম পরিশোধ সম্ভব না রাশিয়াকে। তাই রুবলে লেনদেনে আগ্রহী রাশিয়া।

তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেশটি কী প্রস্তাব দিয়েছে, দাম কেমন হবে, মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থাপনা কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানাননি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

জ্বালানির দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা জ্বালানির দামটা স্থিতিশীল রাখতে চাই। বাড়াতেও চাই না, কমাতেও চাই না। দাম যতটুকু কমেছে, তাতে করে এখনই সমন্বয় করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।’

জ্বালানি খরচ কমাতে বিদ্যুৎচালিত গণপরিবহন চালু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এখন বৈদ্যুতিক থ্রি হুইলারগুলো চলছে। এগুলো জনগণকে খরচের ব্যাপারে স্বস্তি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহন চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’

রেল মন্ত্রণালয় চাইলে বৈদ্যুতিক ট্রেনও চালু করতে পারে বলেও জানান নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎকেন্দ্রেও তেলনির্ভরতা কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের বেশ কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে পারব। এতে খরচ সাশ্রয় হবে।’

জ্বালানি আমদানির সমস্যা কেটে গেছে বলেও জানান নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো রাষ্ট্রীয় কেনাকাটায় বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার ছাড় দিতে বাধ্য। আমরা যে ব্যাংক থেকেই এলসি খুলতে চাই, বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংকের ডলারের জোগান দিতে বাধ্য। বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।’



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top