করোনায় ভাগ্য খুললো সাঈদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া | প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০ ১৭:৩৫; আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২০ ১৮:৫৫
![কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সাথে আবু সাঈদ](https://www.rajtimes24.com/uploads/shares/আবু_সাঈদ-2020-08-17-11-34-19.jpg)
কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ। মহামারি করোনা যেন এই প্রবাদ বাক্যটিকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের আবু সাঈদ (৪৯)।
২১ বছর সাজা ভোগের পর করোনার কারণে সরকারের বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি পেলেন সাঈদ। একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।
আবু সাঈদকে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় রবিবার। মুক্তি দেওয়ার জন্য সাঈদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বগুড়া জেলা কারাগারের সূত্র জানা যায়, আবু সাঈদ ১৯৯৯ সালে নওগাঁর বদলগাছিতে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন। ২০০৩ সালে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওই মামলার রায়ে এক বিচারক একজনকে মৃত্যুদণ্ড, সাঈদসহ দু’জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেন।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার বিশেষ ক্ষমায় দীর্ঘদিন জেলে থাকা ৩২৯ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে বগুড়া কারাগার থেকে শুধু আবু সাঈদ মুক্তি পেয়েছেন। সাঈদ প্রথমে নওগাঁ কারাগারে ছিলেন। প্রায় ১০ বছর আগে তাকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়।
সাঈদকে নিতে তার ছোট বোন দুলালী আসেন। মুক্তি পাওয়ার পর সাঈদ বলেন, ‘মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেলাম। জানি না কোন ভালো কাজের জন্য সরকার আমাকে মুক্তি দিলো। জেলখানার চার দেয়াল জীবনের সঙ্গী হয়েছিল। সরকারের বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি পেয়ে আবার বাড়ি ফিরতে পারছি। প্রায় ২১ বছর পর আবার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা হবে। আবার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবো।’
এদিকে বাড়ি ফেরার সময় প্যারালিগ্যালদের আইআরএসওপি প্রকল্পের পক্ষ থেকে সাঈদকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। প্যাকেটে ২৫ কেজি নাজির শাইল চাল, পাঁচ কেজি মসুর ডাল, পাঁচ কেজি আলু, পাঁচ কেজি পেঁয়াজ, তিন লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি লবণ, দুই কেজি চিনি, ছয়টা কাপড় ধোঁয়ার গুড়া সাবান, ছয়টা গায়ে দেওয়ার সাবান ও পাঁচটি মাস্ক ছিল।
#এনএস
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: