নোয়াখালীতে বিবস্ত্রের ঘটনা: ভিডিও সরিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২০ ১৯:০৬; আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪০

ফাইল ছবি

রবিবার (০৪ অক্টোবর) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ভিডিও সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এই ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে সোমবার (০৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এর পর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। সেটি ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকেন। তিনি প্রাণপণ নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেননি। বরং হামলাকারীরা তার মুখে ও শরীরে লাথি মারেন। এর পর তার শরীরে একটা লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চিৎকার করেন আরেকজন।

ভিডিওটি মাধ্যমে অনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিত গৃহবধূর পরিবারকে কিছু দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে তারা পুরো পরিবারকে বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেন। এ কারণে ঘটনাটি স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থাকে।

পরবর্তীতে গৃহবধূ তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হলে ওই ভিডিওচিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী ঘটনায় জড়িত নয়জনকে আসামী করে রোববার (০৪ অক্টোবর) রাতে মামলা করেন।

এই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জের ওসি মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ চৌধুরী। তিনি জানান, নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে পৃথক দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।

সর্বশেষ, ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়। খবর-যুগান্তর

  • এসএইচ

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top