আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা কখনো পালায় না: প্রধানমন্ত্রী

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৪৭; আপডেট: ৫ মে ২০২৪ ১৯:৩৩

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং ‘আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না’, বরং দলের একমাত্র লক্ষ্য দেশবাসীর জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন। ‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’-বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালিয়ে যায়নি কখনো।’

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

বিএনপির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরোধী দল, যদিও তারা সংসদে নাই, বলে-আমরা নাকি পালাবার কোনো পথ খুঁজে পাব না। তারা হুমকি দিচ্ছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যিনি এই ভাষণ দিয়েছেন-তাকে তিনি মনে করিয়ে দিতে চান যে, ‘শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, পালিয়ে যায়নি কখনো’। বরং তিনি ১/১১ সরকারের সময় দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এখন তারা, যাদের দলের নেতা একজন দণ্ডিত, তারা বড় বড় কথা বলছে।

তিনি বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি নেতারা) তো ইতিমধ্যেই পলাতক রয়েছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অধীনে তারা কীভাবে এত বড় কথা বলতে পারে ?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হুমকি ও কঠোর বাধা সত্ত্বেও তিনি দেশে ফিরেছেন। সে সময় আমি বিদেশে ছিলাম। তারা (১/১১ সরকার) আমি দেশে ফিরি, তা চায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে আসতে দেয়নি। সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে আমাকে নিয়ে ঢাকায় না নামতে বলা হয়েছিল।’

ঢাকায় তাদের অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন নির্দেশনা দেওয়ার পরও আমি জোর করে বাংলাদেশে ফিরে আসি।’ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, তার দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে, যারা বিমানবন্দরে যাবে- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীরা তাতে কর্ণপাত করেনি বরং আমি যখন ঢাকায় অবতরণ করি, তখন হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ফিরে এসেছি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এতে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে শোকের মাস উপলক্ষে কেআইবিতে রক্তদান অভিযানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top