ঢাকা-৪

১৫-২০ মিনিট পরপর আসছেন একেকজন ভোটার

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:০২; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৪

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৪ আসনে ভোট শুরুর পর সকাল পৌনে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি কোথাও ভোটারদের লাইনও দেখা যায়নি। এসব কেন্দ্রের আশপাশে নির্বাচনী আমেজও নেই। আছে শুধু প্রার্থীর কিছু সংখ্যক সমর্থক। আর প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর একজন ভোটারকে কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে দেখা গেছে।

রোববার সকাল পৌনে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চারটি ভোটকেন্দ্রে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সরজমিন দেখা গেছে, এই চারটি কেন্দ্রে নির্বাচনের কোন আমেজ নেই।

এরমধ্যে তিনটি ভোটকেন্দ্রের সামনে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক এবং ভোটকেন্দ্রের ভিতরে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর এজেন্ট ও সমর্থকদের দেখা যায়নি। সকাল পৌনে ৯টার দিকে জুরাইন আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, ৫ থেকে ১০ মিনিট পর পর একজন ভোটার ভোট দিতে আসছেন। কিন্তু তারপরে আর তেমন ভোটার দেখা যায়নি।

কেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে কোন লাইন দেখা যায়নি। আর কেন্দ্রের ভিতরে মাত্র দু'জন ভোটারকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

জুরাইন আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জুবায়ের হাওলাদার বলেন, সকালে ভোটের শুরু হিসেবে ভোটার উপস্থিতি ভালোই। সেই হিসেবে ভালো ভোট পড়ছে। তবে ভোটার সংখ্যা কম। ওদিকে জুরাইন আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেকটি ভোট কেন্দ্রে (মহিলা ভোটার কেন্দ্র) সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে চাইলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানান যে, এখন প্রবেশ করা যাবে না। পরে আসেন। সকাল ১০টার দিকে এই কেন্দ্রে ভোট দেন নৌকায় প্রার্থী সানজিদা খানম। ভোট দেয়ায় শেষে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, নৌকায় বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।

আর ঢাকা-৪ আসনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে যেভাবে নাশকতা হয়েছে সেখানে ঢাকা-৪ আসনে কোন নাশকতা হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একটা সুষ্ঠু ভোট চান। সবাই চায় সুষ্ঠু ভোট। বিদেশিরাও চাচ্ছেন।

সানজিদা খানম বলেন, এখানে ৯ জন প্রার্থী। সুতরাং এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে। আর সম্মানিত ভোটাররা আসছেন এবং তারা ভোট দিচ্ছেন। এখানে কোন রকম ঝামেলা হয়নি। এই আসনে ভোটার প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার। এরমধ্যে জুরাইন আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ৪ হাজার ২৯৪ জন ভোটার বলেও জানান জুবায়ের হাওলাদার।

সাড়ে ১০ টার দিকে নতুন জুরাইন কে এম মাঈনুদ্দীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ৩৩১ জন। এরমধ্যে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২৫০টির মতো। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইকবাল হোসেন বলেন, ভোটাররা আসছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারও বাড়বে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে কোন ভোটার দেখা যায়নি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে বাঁশ দিয়ে ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানোর যে সারি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে একজন ভোটারকেও দেখা যায়নি। এমনি বুথ কেন্দ্রেও কোন ভোটারকে দেখা যায়নি।যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুরের আংশিক এলাকা নিয়ে এই আসনে মোট প্রার্থী ৯ জন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র দুজন।

আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সানজিদা খানম (নৌকা)। আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন আওলাদ হোসেন (ট্রাক), জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির রফিকুল ইসলাম (সোনালী আশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সোহেল (ডাব)। এছাড়া মনির হোসেন স্বপন (ঈগল), ইয়াসিন হোসেন (বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি)-হাতঘড়ি, সালেহ আহমেদ সোহেল (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট)- ছড়ি, শাহ আলম (ইসলামি ঐক্য জোট)-মিনার।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top