জামায়াতে ইসলামীর চাঁদাবাজি-দুর্নীতি করার অভিজ্ঞতা নেই: ডা. শফিকুর

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০৯; আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ২০:২৪

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের সম্পদ চুরি, দলীয় কর্মীদেরকে দিয়ে চাঁদাবাজি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণরুম কায়েম করার অভিজ্ঞতা জামায়াতের নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণরুম কায়েম করার অভিজ্ঞতা নেই জামায়াতের। এমনকি সর্বপর্যায়ে মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত দুর্নীতি করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা ১৭ আসন আয়োজিত এক যুব–ছাত্র ও নাগরিক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণ যাদের কর্মসূচি সমর্থন করে, যাদের বক্তব্যে আস্থা রাখে, তাদের বাছাই করে নেবে। আমরা তাদের অভিনন্দন জানানোর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। ফ্যাসিবাদের কিছু লক্ষ্মণ এখনও আছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, মা–বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি এবং দেশকে দাইয়ের জুড়ে অস্থির করার অশনি সংকেতের মতো ফ্যাসিবাদীদের পাঁচটি লক্ষণ চিহ্নিত করেন দলটির আমির।

ক্ষমতায় গেলে সকল ফ্যাসিবাদ–বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিভক্ত জাতি আর দেখতে চাই না। আমরা ওই দুশমনের রাষ্ট্রের চাষ আর বাংলাদেশে হতে দেবো না।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালায়নি। আমরা নির্যাতিত হয়েছি, জেলবরণ করেছি, জীবন দিয়েছি। কিন্তু আমরা দেশ ছেড়ে পালাইনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘সরকারের ম্যান্ডেটে আসতে পারবে না দেখে পুরোনো সন্ত্রাসীরা নতুন রূপে ফিরে এসেছে। আমরা ৩০০ আসনে নিষ্কলুষ প্রার্থীদের মনোনীত করেছি। জনসেবা যাদের পেশা এবং নেশা, জামায়াতের পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।’

জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত ইসলামী দেশ ছেড়ে পালায় না। দেশের জনগণ বস্তাপচা রাজনীতি আর দেখতে চায় না। নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ফর্মুলায় আর চলবে না, নতুন ফর্মুলায় চলবে। দেশের জনগণ মানুষের সরকার দেখতে চায়।

জামায়াতকে দেশের রাজনীতি থেকে ব্যান করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ভিতরে আমরা মহাজির ছিলাম। দেশের মাটিকে কামড়ে ধরেছিলাম। বুকে জড়িয়ে এখানেই ছিলাম। জেল বরণ করেছি। জীবন দিয়েছি। কিন্তু দেশ ছেড়ে আমরা পালাইনি।

পুরোনো সন্ত্রাসীরা নতুন রূপে ফিরে আসার কথা জানিয়ে, আমির বলেন, জনগণের হৃদয়ে যে ভালোবাসার পোস্টার লেগে গেছে তা কেউ ছিঁড়তে পারবেন না।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top