ভোলাহাটে পাঠাগার ভবনে বই-পাঠক কিছুই নেই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২১ ০০:৪২; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১১:২০

ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবন। 
উপজেলা পরিষদ চত্বরের দক্ষিণ গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই ডান দিকে সমুন্নত স্মৃতি সৌধ। তার পাশেই রয়েছে দৃষ্টি নন্দন ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১১ সালে নির্মাণ করা হয় ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবনটি। একই বছরের শেষে নির্মাণাধীন পাঠাগার ভবনটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন সাংসদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) মু. জিয়াউর রহমান। পাঠাগার উদ্বোধনকালে পাঠকের জন্য চেয়ার-টেবিল, আলমারী থাকলেও সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো বই না থাকায় নেই কোনো পাঠকও।
 
 
উদ্বোধনের সময় ভবনের ভিতর যে সব চেয়ার-টেবিল ছিলো সময়ের সাথে সাথে প্রায় নষ্ট হতে বসেছে সেগুলো। ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে পাঠাগারে বই-পাঠক না থাকলেও ভবনের এক পাশে উপজেলা ই-সেবা দিচ্ছেন শহিদুল ইসলাম। চত্বরের পাশে ভবনের গায়ে জলজল করে লেখা ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার। দীর্ঘদিন ধরে আকর্ষণীয় ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও উপজেলার দায়িত্বশীলদের কারো কোনোদিন চোখেই পড়েনি এটি পাঠাগার না অন্য কোনো ভবন। 
 
ভবনের ভিতর ই-সেবা দিচ্ছেন শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০১১ সালে ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে পাঠাগার ভবনে উপজেলা ই-সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার হলেও চেয়ার-টেবিল, একটা আলমারী আছে কিন্তু কোনো বই দেখতে পায়নি। ভবনটি উদ্বোধনকাল থেকে এখন পর্যন্ত দেখা-শুনা করছেন শহীদুল ইসলাম।
 
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মিজানুর রহমান জানান, ভোলাহাটে কেন্দ্রীয় পাঠাগার কোথায় আছে তা আমার জানা নেই। উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার থাকলে তো পাঠাগার কমিটি থাকার কথা। কিন্তু এমন তথ্য আমার কাছে নাই।
তিনি বলেন, উপজেলায় মোট ৪৭টি স্কুল রয়েছে। সব স্কুলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার রয়েছে। সেখান থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারে। ঠিক তেমনি ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার থাকলে মুক্তিযুদ্ধের বই, বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বই, ইসলামী বই, মহা মনীষিদের লেখা বই, কবিতা-গল্প, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, মৎস্য, সফলতা অর্জন বই, গবেষণা, পত্রিকাসহ বিভিন্ন বই রাখলে খুব ভালো হবে। বই পত্রিকা থাকলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পাঠাগারে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। পাঠগার চালু করার জোর দাবি করেছেন তিনি।
 
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার জানান, আমিও পাঠাগারের ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে ভবন যেহেতু আছে, সেহেতু চালু করার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহন করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালের সাথে মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
 
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. রাব্বুল হোসেন বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার আছে কি না তা জানি না। তবে ভবন আছে সেটি উপজেলা ই-সেবার উদ্যোক্তা শহীদুলের ভবন বলে চিনেন তিনি। কেন্দ্রীয় পাঠাগার বলে তিনি জানেন না। পাঠাগারের কমিটি আছে, হয়েছিলো এমন সন্দেহ মূলক কথা বললেও কে বা কারা কমিটির সভাপতি, সাধারণ-সম্পাদক বা সদস্য তা জানাতে পারেননি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে জানান তিনি।
 
 
 
 
এসকে

 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top