নগরীতে ভাসমান ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

রাজশাহী নগরীতে ভাসমান ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন আমরা নতুন প্রজন্ম সামাজিক সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আজিজুল আলম বেন্টু। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তিনি নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় অবস্থিত লবঙ্গ চাইনিজ এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।

শীত বস্ত্র নিতে আসা বৃদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, এবয়সে এখনও দিন আনি, দিন খায়,বাজারে শীতবস্ত্রের দাম অনেক।কিনতে পারেনি গত চার বছরের একটি জ্যাকেট পড়ে ছিলাম। আজ যে জ্যাকেটটি পেলাম সেটি দিয়ে আগামী দুই তিন বছর কাটিয়ে দিতে পারব। যারা জ্যাকেট দিলেন, তারা যেন অনেক দিন বেঁচে থাকে। সৃষ্টিকর্তা তাদের ভালো রাখুক।

সাত্তার আহমেদ নামে অপর এক ভাসমান ব্যক্তি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে একটি বিল্ডিংয়ের নিচে থাকি।আমার কম্বল থাকলেও ছিল না শীত বস্ত্র ফলে ঠান্ডা বাতাসে কাবু হতাম। এখন যে গরম পোশাকটি পেলাম আমার কষ্টটা অনেক কম হয়ে গেল।
শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের আমরা নতুন প্রজন্ম সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, শীতে যেন কোনো মানুষ কষ্ট না পায়, এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে আমি তাঁর খুদে কর্মী হিসেবে চেষ্টা করেছি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। প্রতিবছরই আমরা এ মানুষগুলোকে কম্বল বিতরণ করে থাকি। কিন্তু এবার এই ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছি।

কারণ কম্বল গায়ে দিয়ে কোন কাজে যাওয়া সম্ভব না। আর সকলেই জানে এ অঞ্চলের মেহেনতি মানুষ গুলো জীবিকা নির্বাহের জন্য অনেক সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রাতে আবার ঘরে ফিরে আসে। তাই আমরা এবার ভেবেছি এ মানুষগুলো যেন গায়ে শীতবস্ত্র দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। তাই ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি হাতে নেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন,সব মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সমাজে কারও কষ্ট থাকবে না। এসময় আমরা নতুন প্রজন্ম সামাজিক সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আজিজুল আলম বেন্টু সম্প্রতি কল্পনা হলের মোড়ে ‘লবঙ্গ ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ’নামে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেছেন। ওই রেস্তোরাঁর লাভের টাকায় তিনি শত শত ছিন্নমূল মানুষের খাওয়ার যোগান।