ঐতিহাসিক পর্যালোচনায়

প্রাচীন বাংলায় দ্বীন ইসলামের আগমন

মহিব্বুল আরেফিন | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১১:০০; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ১১:১১

 প্রাচীন বাংলার মানচিত্র।

তৃতীয় পর্ব

অতি প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রামের সাথে আরব বণিকদের সম্পর্কের ইতিহাস বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব উপাদান থেকে পাওয়া যায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর পূর্ব থেকে আরব বণিকদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক পথ ভারত ও চীনের বাণিজ্যিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে প্রাচীন বাংলায় দক্ষিণ উপকূল ও বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আল্লাহপাক মনোনীত দ্বীন ইসলামের সত্যবাণী প্রবেশ করে। যা সপ্তম ও অষ্টম শতকে আরব বণিকগণের বাংলা ও ভারতের পশ্চিম উপকূলে আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে পবিত্র ইসলাম ধর্ম আগমন এবং তা প্রচারের শুভ সূচনা হয়।

‘চট্টগ্রামে ইসলাম’ গ্রন্থে ড. আবদুল করিম বিশেষ একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘আরাকানের রাজবংশীয় উপাখ্যান ‘রাদজা তুয়ে’ বর্ণিত আছে, ‘কান-রাদজাগির বংশের রাজা মহত ইঙ্গত চন্দয়ত সিংহাসনে আরোহণের পর (৭৮৮-৮১০ খ্রিষ্টাব্দ) কয়েকটি কু-ল অর্থাৎ বিদেশী জাহাজ রনবি (বর্তমান রামরী) দ্বীপের সাথে সংঘর্ষে ভেঙ্গে পড়ে এবং মুসলমান আরোহীদের আরাকানে পাঠানো হয়। পরে সেখানে তারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস শুরু করেন।’ আবার অনেকে মনে করেন, ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুসুলমানরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেন।’

বাংলায় সাহাবাদের (রা.) ইসলাম প্রচার
ভারতীয় উপমহাদেশে সাহাবা (রা.) এর মাধ্যমে ইসলাম প্রচার শুরু হয়েছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ সংশয় নেই। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পবিত্র হাদিস শরিফে হিন্দুস্থান বিজয়ীদের জন্য সুসংবাদও প্রদান করেন।’ যার কারণে হিন্দ তথা ভারত অভিযানের হাদিসটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস শরিফে আছে, ‘রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন যে, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দুইটি সেনাদলকে আল্লাহপাক জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন, তার মধ্যে একটি হলো হিন্দ (হিন্দুস্থান) অভিযানকারী সেনাদল আর অপরটি হলো ঈসা (আ.) এর সহযোগী সেনাগণ।’ এমন সুষ্পষ্ট ঘোষণা পর সাহাবা (রা.) হিন্দুস্থান তথা ভরতবর্ষে ইসলাম প্রচারের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকবেন এটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আর রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর হাদিসগুলোর মমার্থ বিশ্লেষণ করলে প্রতীয়মান হয়, ভারতবর্ষ তথা বাংলায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে সাহাবা, তাবেঈ এবং তাবে-তাবেঈগণ মূল ভূমিকা রাখেন। তারা বিভিন্ন মুসলিম বাণিজ্যিক কাফেলার মাধ্যমে ভারত (হিন্দ) তথা বাংলায় ইসলাম প্রচারের জন্য আগমন করেন।

তথ্যগত বর্ণনায় পাওয়া যায়, ‘হিজরি প্রথম শতকের শেষ দিকে ৯৬ হিজরিতে (১৭১২ খ্রিষ্টাব্দ) উমাইয়া শাসনামলে সেনাপতি মুহম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হবার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিকভাবে ইসলামের প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। তবে পবিত্র মক্কায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রায় সমসাময়িককালে মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এঁর জীবদ্দশায় পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে। হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর নবুয়তের পঞ্চম বছরে অর্থাৎ ৬১৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মক্কার প্রতিকূল পরিবেশে মুসলমানদের ইমান-আকিদা নিয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের আবিসিনিয়ায় হিজরত করার নির্দেশ দেন।

মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর নির্দেশে হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) সহ প্রায় ৮৩ জন সাহাবি হাবশার বাদশা নাজ্জাশীর দরবারে আশ্রয় নেন। মূলতঃ মুসলমানদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি ইসলামের সুমহান আদর্শ মক্কার বাইরে ইসলাম প্রচারের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এই বিজ্ঞ সাহাবিকে আবিসিনিয়ায় প্রেরণ করেন।’ কারণ ‘লোহিত সাগরের প্রবেশ পথে অবস্থিত সেই সময়ের আবিসিনিয়া একটি উল্লেখযোগ্য এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিলো। পশ্চিমে মিশর এবং পূর্বে চীন পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রপথে চলাচলকারী বাণিজ্যিক নৌবহর সমূহ আবিসিনিয়ায় এসে যাত্রা বিরতি করত।

যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থান থেকে বিশ্বের খবর আদান-প্রদানের বিশাল সুযোগ আসে মুসলমানদের হাতে। হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর হিজরত পরবর্তী সময়ে আবিসিনিয়া থেকে প্রায় সকল মুসলিম মুজাহিদ মক্কা-মদিনায় ফিরে আসলেও হজরত আবু ওয়াক্কাস (রা.) আর ফিরে আসেননি বলে জানা যায়। তিনি মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর নবুয়তের সপ্তম বছরে (১) হজরত কায়স ইবনে হুযাইফা (রা.), (২) হজরত ওরওয়াহ ইবনে আছাছা (রা.) এবং (৩) হজরত আবু কায়স হারেস (রা.) বাদশা নাজ্জাশীর দেয়া একটি জাহাজ নিয়ে সমুদ্র পথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক পথে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে প্রথমে ভারতের মালাবারে উপস্থিত হন। সেখানকার রাজা চেরমান-পেরুমলসহ বহু সংখ্যক মানুষকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন। এরপর চট্টগ্রামে আগমন করে যাত্রাবিরতি করেন। এরপর তিনি ৬২৬ খ্রিষ্টাব্দে চীনের ক্যান্টন বন্দরে উপস্থিত হন। হজরত আবু ওয়াক্কাস (রা.) এর কাফেলাটি ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দে রওয়ানা দিয়ে প্রায় নয় বছর পর চীনে পৌঁছান। এই নয় বছর তাঁরা পথিমধ্যে বাণিজ্যিক কেন্দ্রসমূহে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন। এ থেকে অনুমান করা হয়, হজরত আবু ওয়াক্কাস (রা.) এঁর কাফেলাটি মালাবারের পর চট্টগ্রাম ও আকিয়াবেও জাহাজ নোঙ্গর করে ইসলাম প্রচারের কাজ করেন। সে সূত্রেই হিন্দের অর্থাৎ বৃহত্তর ভারতের কোন অঞ্চলের জনৈক রাজা কর্তৃক মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর নিকট হাদিয়া তোহফা প্রেরণ করেন বলে হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়।

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণিত, ‘তিনি বলেন, হিন্দের জনৈক শাসক হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর কাছে এক পোটলা হাদিয়া প্রেরণ করেন; যার মধ্যে আদাও ছিল। নবিজি সাহাবিদের তার (আদার) একটু অংশ খেতে দিয়েছিলেন এবং (হাদিস বর্ণনাকারী রাবি বলেন) আমাকেও একটা অংশ খেতে দেয়া হয়েছিল।’ তবে হিন্দের কোন শাসক মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর নিকট হাদিয়া প্রেরণ করেছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়না।

আমিরুল মুমেনিন হজরত ওমর (রা.) এর সময়কাল
৬১৭ খ্রিষ্টাব্দের পরে আমিরুল মুমেনিন হজরত ওমর (রা.) এর সময়ে তাবেঈদের একটি দল চট্টগ্রাম সফর করেন। তাদের সময়কাল নির্দিষ্টভাবে পাওয়া যায়না। কিন্তু তাদের সাতজনের নাম পাওয়া যায়। লেখক ড. হাসান জামান এর মতে, ‘হজরত ওমর (রা.) এর শাসনামলে কয়েকজন ইসলাম প্রচারক বাংলাদেশে এসেছিলেন। এদের নেতা ছিলেন হজরত মামুন (র.) ও হজরত মুহায়মিন (র.)। দ্বিতীয়বার প্রচার করতে আসেন হজরত হামিদ উদ্দিন (র.), হজরত মুর্তাজা (র.), হজরত আবদুল্লাহ (র.) ও হজরত আবু তালিব (র.)। এই রকম পাঁচটি দল পরপর বাংলাদেশে আসেন। অন্য বর্ণনায় উল্লেখ আছে, তাঁরা হলেন: ১. হজরত মুহম্মদ মামুন (র.), ২. হজরত মুহায়মিন (র.), ৩. হজরত আবু তালেব (র.), ৪. হজরত মুর্তাজা (র.), ৫. হজরত আব্দুল্লাহ্ (র.), ৬. হজরত হামিদ উদ্দিন (র.) এবং ৭. হজরত হোসাইন (র.)।

ভারতবর্ষের প্রথম ইসলাম প্রচারক আউলিয়া
ভারতবর্ষের প্রথম কে ইসলাম প্রচারক আউলিয়া এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে কিছু স্থানে ভারতবর্ষের প্রথম ইসলাম প্রচারক আউলিয়া হিসেবে হজরত শেখ ইসমাইল (রহ.) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতবর্ষ ও ইসলাম গ্রন্থে সুরজিত দাশগুপ্ত উল্লেখ করেন, ‘যতদূর জানা যায়, ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে প্রথম যিনি এসেছিলেন তার নাম হজরত শেখ ইসমাইল (রহ.); তারপরে এলেন হজরত শেখ আলি উসমান অল-হুজাইয়ী ওরফে দাতা গঞ্জ বখ্ষ্ (রহ.)। এরা দুজনেই আধ্যাত্নিক সাধনার স্থান হিসেবে লাহোর নির্বাচন করেনে। হজরত গঞ্জ বখ্ষ্ (রহ.) রচনাবলীর মধ্যে ‘কষ্ফ্ অল-মহ্জূব’ বিশেষ বিখ্যাত। তিনি হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মালম্বী জনসাধারণের উপরে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন। ১০৭২ খ্রিষ্টাব্দে লাহোরের ভাটি দরোজাতে দেহত্যাগ (মৃত্যু) করলে তার মাজার বা সমাধিস্থল উভয় ধর্মালম্বীদের কাছে পবিত্রস্থানে (তীর্থস্থানে) পরিণত হয়। ভারত বিভাগের আগে পর্যন্ত প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার সেখানে উভয় ধর্মাবলম্বীদেরই বিরাট মেলা বসত।’

‘পারস্য সাধক হজরত খাজা উসমান হারোয়ানী চিশতি (রহ.) এর শিষ্য হজরত খাজা মৈইন উদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৬১ সালে ঘজনী (গজনী) থেকে লাহোরে আসেন। এখানে তিনি কিছুকাল হজরত গঞ্জ বখ্ষ্ (রহ.) এর মাজারে আত্মশুদ্ধির সাধনা করেন। তারপর মূলতান ও দিল্লী ভ্রমন করে, অবশেষে আজমিরের পুঙ্করের কাছে তাঁর পূর্ণ সাধনার আসন পাতেন। হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেই তার প্রচুর শিষ্য ছিল এবং যেসব ব্রাহ্মণরা তাঁর কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন তাঁরা পরবর্তীকালে হুসেনী ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত হন। ধর্মগ্রন্থ হিসেবে এঁরা অথর্ব বেদকে মানেন আবার সে সঙ্গে বেদ বিরোধী নয় এমন অনেক মুসলিম আচারও এই হুসেনী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় মানেন। কোনও বিষয়েই নিয়মকানুনের কড়াকড়িকে এঁরা শাঁস ছেড়ে খোলস নিয়ে মাতামাতির শামিল মনে করেন।’

পূর্ববর্তী যুগে আরব-হিন্দের যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিলো সমুদ্রপথ। আর মহানবি হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রয়োজনে সমুদ্রপথ অতিক্রম করেও ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য সাহাবিদের নির্দেশ দান করে বলেন, ‘ ....নিঃসন্দেহে তোমরা ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে সমুদ্র সফরও করবে। আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফা ময়দানে সমবেতদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যারা আজ এখানে উপস্থিত আছে তারা ঐ সমস্ত লোকদের কাছে পৌঁছিয়ে দেবে, যারা এখানে উপস্থিত নেই...।’ সুতরাং নবি পাক এঁর আদেশ পালনে এবং আল্লাহ তায়ালার বাণী পৌঁছে দিতে বাংলায় সমুদ্রপথে সাহাবাগণ (রা.) এরপর তাবেঈ এবং তাবে- তাবেঈগণ, তাদের পরে আউলিয়াগণ এই বাংলার জমিনে আগমন করেন এটা সহজেই অনুমেয়। আর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি এবং রাসুলে পাকের নির্দেশে সাহাবা (রা.), তাবেঈ এবং তাবে-তাবেঈগণ এবং আউলিয়াগণ তাদের জন্মভূমি, পরিবার-পরিজন ত্যাগ করে অচেনা-অজানা এই ভূমিতে আগমন করেছিলেন বলেই আমাদের পূর্বপুরুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করেন।

[ ১ম পর্ব : আরব অঞ্চলের সাথে প্রাচীন বাংলার সম্পর্ক; ২ম পর্ব : আরব বাণিজ্য ও ইসলাম প্রচারের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ]

লেখক: সাংবাদিক ও সুফি গবেষক ।

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top