চুল কাটার সুন্নত পদ্ধতি

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৫২; আপডেট: ৩ মে ২০২৪ ১৯:২৯

ছবি: প্রতীকী

প্রতিটি জিনিসের একটা সৌন্দর্য আছে। যেমন—জামা-কাপড় বানালে কাটিং ও সেলাই সুন্দর না হলে জামা দেখতে ভালো দেখায় না, পরতেও আরাম লাগে না। জুতা পরিধান করলেও আমরা সুন্দরটাই বেছে নিই। সবাই আমরা সুন্দরের পাগল! মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই সৌন্দর্য ভালোবাসেন। তেমনি মাথার চুলগুলোও কত সুন্দর দেখতে! চুলে তেল, শ্যাম্পু, সুগন্ধী ব্যবহার করি ভালো এবং মসৃণ রাখার জন্য। সেই চুল রাখারও সুন্নত পদ্ধতি রয়েছে। প্রতি কাজেই আল্লাহকে রাজিখুশি করা আমাদের কর্তব্য। চুল কাটার ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। জীবন চলার যাবতীয় মৌলিক পদ্ধতি কুরআন-হাদিসে সবই বলা আছে। পুরুষদের জন্য বাবরি চুল রাখা সুন্নত। কেননা, রসুলুুল্লাহ (স.)-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল বাবরি চুল রাখা। তা তিন পদ্ধতিতে হতে পারে। এক. উভয় কাঁধ বরাবর। দুই. ঘাড়ের মাঝামাঝি। তিন. উভয় কানের লতি পর্যন্ত। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪১৮৩-৪১৮৭)

রসুলুুল্লাহ (স.) এহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথা মুণ্ডাতেন। এছাড়া তিনি কখনো মাথা মুণ্ডাননি। এ সময় তিনি মাথা মুণ্ডানোর চেয়ে চুল ছোট করে রাখার ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। ইমাম তাহতাবি রহ. বলেন, মাথা ন্যাড়া করাও সুন্নাত। আর কিছু অংশ মুণ্ডানো এবং কিছু রেখে দেওয়া নিষিদ্ধ। মুণ্ডাতে ইচ্ছে না করলে চুল ছোট রাখা যেতে পারে। আলেমগণ তিন তরিকায় বাবরি রাখাকে সুন্নাত আর মাথার চুল ছোট করে রাখা বা মুণ্ডানোকে জায়েজ বলেন।

এছাড়া সামনে বা পেছনে লম্বা রাখা অথবা ডান পাশে বা বাম পাশে ছোট-বড় করে রাখাকে জায়েজ মনে করেন না। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো, চুলের যে কাটিং ভিন্ন কোনো জাতিসত্তার অনুকরণে হবে, তা-ই নাজায়েজের মধ্যে শামিল হবে। (মাহমুদিয়া-২৭/৪৬০, মিশকাত- ৩৮১, ২৩২, ৩৮০)

মেয়েদের জন্য চুল মুণ্ডন করা বা কেটে ছেলেদের মতো করে ফেলা নিষেধ। আবার এত বড় রাখা উচিত নয় যে, গোছলের সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর হয়। বরং পিঠ বা কোমর পর্যন্ত রাখা ভালো। সেই মতে কোমরের নিচের অংশ কেটে ফেলা জায়েজ হবে। অবশ্য না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top