পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫; আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ২১:০৬

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের পর আরও একবার এশিয়া কাপের সেরা চারের লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৫ বছর পর বাংলাদেশকে দেখা যাবে সুপার ফোরে। সর্বশেষ মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীনে পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের সামনে আজ আরও একবার তাদের হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে যাবার সুযোগ।

এশিয়া কাপে ১৪ বার দেখায় দুইবার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান জিতেছে ১২ ম্যাচ। তবে সবশেষ পাঁচবার মুখোমুখি হয়ে চারবার জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

কিন্তু দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ভিন্ন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কে শীর্ষে থাকা পাকিস্তানকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবেন অনেকে।

দুই দলের অতীতটাও দেখলে পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখা যায়। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যেখানে শুধুমাত্র ৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ৩২ ম্যাচেই জয় পাকিস্তানের। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় জয়টাও পাকিস্তানের বিপক্ষেই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বড় অঘটনের জন্ম দিয়ে পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩২৯। ২০১৫ সালে দুই দেশের ওয়ানডে সিরিজে তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় দাঁড় করায় বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৮৫। ২০১০ এশিয়া কাপে শহীদ আফ্রিদির ১২৪ রানের অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে বড় সংগ্রহ করেন পাকিস্তান।

সর্বোচ্চ স্কোরের দিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও সর্বনিম্ন স্কোরের একটু হতাশই করবে বাংলাদেশকে। সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় শীর্ষ দশে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে ৩২০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সেদিন বাংলাদেশকে ২৩৩ রানের ব্যবধানে হারায়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও গড়েছিল।

অপরদিকে টাইগারদের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বনিম্ম রানের রেকর্ডটা অবশ্য বেশ পুরাতন। একইসঙ্গে বিখ্যাতও বটে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নান্নু-সুজনদের বিপক্ষে করা ২২৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৬১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেই ম্যাচটা জিতেছিল ৬২ রানে। আর এটি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।

দুই দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৯৩ রান করেছিলেন পাকিস্তানের টপঅর্ডার ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফ। আর বাংলাদেশের জার্সিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের। চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার করেছেন ৬৮৪ রান। সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ডও তাদেরই দখলে। ইউসুফের সেঞ্চুরি তিন আর তামিমের দুই।

সবচেয়ে বেশি উইকেটের ক্ষেত্রে পার্থক্য অবশ্য বেশ বড়। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেট পেয়েছেন ৩২ বার। বিপরীতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান।

ডিসমিসালের ক্ষেত্রে সমানে সমান আছেন বাংলাদেশের খালেদ মাসুদ পাইলট এবং পাকিস্তানের কামরান আকমল। দুজনেরই ডিসমিসাল ১৭টি। আজকের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের সুযোগ আছে তাদের ছাড়িয়ে যাবার। তার ডিসমিসাল ১৫টি।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top