বিপিএল হবে সিলেটে, খুলে নেওয়া হচ্ছে রাজশাহীর বাল্ব

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ২১:২৫; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৩

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) খেলা হবে সিলেটে। সেখানে তা আয়োজনে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ১৬০টি ফ্লাডলাইটের বাল্ব খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গণে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এর আগে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে লাগানো ফ্লাডলাইটগুলো খুলে লাগানো হয়েছিল খুলনা স্টেডিয়ামে। পরে সেগুলো আবারো রাজশাহী স্টেডিয়ামে প্রতিস্থাপন করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি সেগুলো আর ফেরত আসেনি। এভাবে একের পর এক রাজশাহীর বিভিন্ন স্টেডিয়ামের বাল্ব খুলে দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়ায় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও রাজশাহীর বাসিন্দা খালেদ মাসুদ পাইলটসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়ায় অবস্থিত শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। স্টেডিয়ামটিকে আইসিসির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি দীর্ঘদিনেও। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে এ স্টেডিয়ামের স্বীকৃতি রয়েছে।

গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মাঠ থেকে ফ্লাডলাইটের ১৬০টি বাল্ব, ব্লাস্ট ও ইগনেটর খোলা শুরু হয়। বিসিবির কর্মকর্তারা এসে হঠাৎ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের এগুলো খুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে অনেকটা গোপনেই এগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গণে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, এই বাল্ব আর ফিরবে না।

এ বিষয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘বিষয়টা ডেকোরেটরের জিনিসপত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার মতো। কতটা অব্যবস্থাপনা থাকলে বিপিএলের মতো একটা বড় টুর্নামেন্ট শুরু হবার পর বিসিবির মনে পড়ে যে সিলেটের ফ্লাডলাইট ঠিক নেই। এখানে লাইট লাগাতে হবে। এটা দুঃখজনক।’

পাইলট বলেন, ‘এগুলো এক স্থান থেকে অন্যস্থানে খুলে নিয়ে যাওয়া এবং লাগানোর খরচও অনেক বেশি। সে টাকা দিয়ে টেন্ডার করে লাইট কিনে নিলেই তো হয়। এক জায়গার লাইট অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হবে কেন? এগুলো আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত না। রাজশাহীর এই স্টেডিয়াম নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা আছে। এটা আইসিসির ভেন্যু হবে। লাইটগুলো খোলার দরকার কী? এগুলোর মালিক তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তারা দিল কেন?’

রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন নবী অনু বলেন, ‘আমাদের মনে হয় বিসিবি আর্থিকভাবে অনেক বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাদের প্রায় হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট। তাদের কোনো কিছু প্রয়োজন হলে ক্রয় করে করতে পারে। রাজশাহীর বাল্ব খুলে সিলেটে লাগাতে হবে এটি যৌক্তিক নয়। এটি খুবই দুঃখজনক। রাজশাহীবাসী হিসেবে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে যেখানে আন্তর্জাতিক ভেন্যু হওয়ার কথা সেখানে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামের বাল্ব খুলে অন্যত্র লাগানো এটি আমি মোটেও সমর্থন করছি না।’

এ নিয়ে জানতে বিসিবির রাজশাহীর ভেন্যু ম্যানেজার ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সদস্য সাইফুল্লাহ খান জেম কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেই কথা বলার পরামর্শ দেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলিটের বিপিএল খেলার জন্য বিসিবি বাল্বগুলো নিয়ে গেছে। খেলা শেষে আবার দিয়ে যাবে।’

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। এর আগেও মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম থেকে ফ্লাডলাইট খুলে অন্যত্র নেওয়া হয়েছিল। আজও সেগুলো ফেরত আসেনি।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top