চীনে ফাইভজি ফোন সরবরাহ রেকর্ড সর্বোচ্চে

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:০০; আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৫

ফাইল ছবি

গত জানুয়ারিতে চীনে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি সমর্থিত ফোন সরবরাহ ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৮ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে, যা দেশটিতে এযাবতকালের মধ্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ মাসিক সরবরাহের চিত্র। চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (সিএআইসিটি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের বরাতে এ খবর দৈনিক বণিক বার্তার।

বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ খাতে দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে ফাইভজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি। একই সঙ্গে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে। টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ বাজার চীন একযোগে বৃহৎ শহরগুলোতে ফাইভজি চালু করেছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটিতে ফাইভজি ফোনের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

সিএআইসিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ডিভাইস ব্র্যান্ড চলতি বছরের শুরুতেই চীনে কয়েক ডজন নতুন ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। এছাড়া চীনা ব্র্যান্ডগুলো আরো কয়েক ডজন নতুন ফাইভজি স্মার্টফোন উন্মোচনের জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। গত জানুয়ারিতে চীনে সরবরাহকৃত মোট মোবাইল ফোনের ৬৮ শতাংশই ছিল ফাইভজি সমর্থিত। বিভিন্ন ডিভাইস ব্র্যান্ড গত মাসে চীনে ২৩টি মডেলের নতুন ফাইভজি ফোন উন্মোচন করেছে, যা দেশটিতে গত মাসে মোট উন্মোচন করা ফোনের ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

বিভিন্ন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরও বৈশ্বিক ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারে নেতৃত্ব দেবে চীনভিত্তিক ডিভাইস ব্র্যান্ডগুলো। ক্রমবর্ধমান বাজারটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকবে যথাক্রমে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল ও দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাং।

সিএআইসিটির প্রতিবেদনে চীনে পাওয়া যাচ্ছে এমন ফাইভজি স্মার্টফোন সিরিজের একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো জিটিই অ্যাক্সন ১০ প্রো ফাইভজি, হুয়াওয়ে মেট ২০এক্স ফাইভজি, হুয়াওয়ে মেট ৩০ সিরিজ, হুয়াওয়ে মেট এক্স (ফোল্ডিং), অনার ভি৩০ সিরিজ, চায়না মোবাইল পাইওনিয়ার এক্স১, ভিভো আইকিউওও প্রো ফাইভজি, ভিভো নেক্স৩ ফাইভজি, স্যামসাং নোট ১০ প্লাস ফাইভজি, শাওমি মি৯ প্রো ফাইভজি, হুয়াওয়ে নোভা ৬, অপো রেনো৩ প্রো, অ্যাপলের আইফোন ১২ সিরিজের চার ডিভাইস ইত্যাদি।

চীন চলতি বছর ছয় লাখ ফাইভজি বেস স্টেশন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির সরকার ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশজুড়ে প্রধান শহরগুলোকে দ্রুত ফাইভজির আওতায় আনতে এমন আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) এর আগে জানিয়েছিল, চলতি বছর চীনের স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর ফাইভজি ডিভাইস সরবরাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে, যা গত বছরের চেয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেশি হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর চীনের ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারের আকার ৩০ কোটি ইউনিট ছাড়াতে পারে। আগের তুলনায় ফাইভজি ফোনের দাম অনেক কমেছে। এছাড়া নিয়মিত নতুন নতুন ব্র্যান্ডের ফাইভজি ফোন বাজারে আসছে। ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো বিস্তারের পাশাপাশি ডিভাইসের দাম কমায় বাজারটির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ টেলিযোগাযোগ বাজারগুলোয় ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যবহারের দিক থেকে ফোরজির চেয়ে ফাইভজির বিস্তার দ্রুত হচ্ছে। উন্নত ও দ্রুতগতির এ নেটওয়ার্ক সেবা ব্যবহারে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোন প্রয়োজন। যে কারণে ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোনের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে ফাইভজি ফোনের চাহিদা বৃদ্ধি সামগ্রিক স্মার্টফোন বাজারের মন্দা ভাব কাটিয়ে উঠতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

বিশ্বজুড়ে ফাইভজির পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর লক্ষ্যে কার্যক্রম জোরদার করেছে সেলফোন অপারেটরগুলো। এ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকেও ফোরজির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top