রাজশাহীতে ঘন কুয়াশা: কৃষিতে বিরুপ প্রভাবের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২১ ০২:২৬; আপডেট: ২৫ জানুয়ারী ২০২১ ০২:৪৯

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে অব্যাহত রয়েছে মৃদ্যু শৈতপ্রবাহ। অধিকাংশ সময়ই ঘন কুয়াশা। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ কুয়াশায় ঢেকে যায় রাজশাহী। কয়েকদিন ধরে কুয়াশার এমন প্রকোপে জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি কৃষি আবাদেও বিরুপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে আলু ও বীজতলায় রোগ সংক্রমনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাজশাহী কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বেশি ঘনকুয়াশা হলে এবং দিনে রোদ না হলে আলুর আবাদ ও বীজ তলায় রোগ সংক্রমণ বেড়ে যায়। করোনার এমন সময়ে এ বিষয়ে আগে থেকেই তৎপর আছে কৃষি বিভাগ। এ বিষয়ে কৃষকদের আগে থেকেই সাবধান করা হয়েছে।
পবা উপজেলার কৃষক সাবিয়ার আলী জানান, এবার তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার গাছ অনেক ভালোই ছিলো। তবে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশার কারণে কিছু গাছ কিছুটা নেতিয়ে পড়ছিলো। তবে তিনি স্থানীয় ডিলারের পরামর্শে স্প্রে করছেন। এখন আবাদ ভালো আছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, কয়েকদিন থেকে ভালোই কুয়াশা পড়ছে। দিনে রোদের দেখাও তেমন মিলছে না। এসময়টায় আলুর নাভিধ্বস দেখা যায়। তবে তারা এবার আগে থেকেই তৎপর রয়েছেন। এখন পর্যন্ত এরকম কোন কিছু জানা যায়নি। এবং তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছেন।
তিনি আরো জানান, কুয়াশায় আলু ও বীজতলার কিছু ক্ষতি করে। এখন বীজতলাতেও বাড়তি পরিচর্যার প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমছে।
রাত ১০ টার দিকে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, রাজশাহীতে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) হঠাৎ করে রাত ৮ টার দিকে এতো ঘন কুয়াশা বা পুরা ফগ দেখা যায়। এর আগে এ সময় এতোটা ঘনকুয়াশা দেখা যায়নি। কুয়াশার তীব্রতা আরো ৪-৫ দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি। 

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, সামনে আবহওয়া কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে শনিবারের চেয়ে রোববার কুয়াশা কমই থাকবে। এ মৌসুমের সর্বোচ্চ কুয়াশা শনিবার দেখা গেছে। যেটা এখন কমবে। রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি আছে। এখন মূলত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। এজন্য রাজশাহীসহ আশপাশের অঞ্চলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

এর আগে, রোববার (১৭ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ দশমিক এবং সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

এসকে




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top