রাজশাহী নগরীতে ৪ স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পজিটিভ
নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২০ ১৯:৫০; আপডেট: ১ আগস্ট ২০২৫ ১২:২৪

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্মরত ৪জন স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। নিজনিজ কর্মক্ষেত্র থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১২ জুন) রামেক হাসপাতালের ল্যাবে ৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৮ টি নমুনায় করোনা ধরা পড়ে। এই ৮ টি নমুনার মধ্যে ৪ টি নমুনাই হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীর এবং তারা সবাই রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা। সনাক্ত হওয়া বাকি ৪ জনের মধ্যে ৩ জন রাজশাহী জেলার ও একজনের বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
এদের মধ্যে জেসমিন (২৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে (২৯ ও ৩০ নং) কর্মরত আছেন। তার পরিবার নগরীর একটি এলাকায় ভাড়া থাকেন। তবে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেসমিনের মতো সকল নার্স ও চিকিৎসকদের পৃথক ভাবে থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছে শুরু থেকেই।
কাজল (৩৮) কাজ করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের হাসপাতালে। তিনি সেখানে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিক্ষানবিশ দুই জন এসপিসহ একজন ঢাকা ফেরত পুলিশের একজন নারী কন্সটেবলের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তখন থেকেই কাজল ওই হাসপাতালে কর্মরত। তিনিও নগরীতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
সেলিনা আক্তার (৪৪) কাজ করেন নগরীর একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। দায়িত্ব অনুসারে সেলিনা আক্তার নগরীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রসূতি মাসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে থাকেন। পরিবার নিয়ে বসবার করেন নগরীতেই।
সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের রিসিপশনিস্ট আয়েশা আক্তার (২৬)। তিনি সিটি কর্পোরেশনের নিচ তলায় অবস্থিত রিসিপশনে কর্মরত। তিনিও থাকেন নগরীতেই।
অন্যন্য আক্রান্তরা হলেন, নওগাঁ জেলার বিপুল (৬৪), নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলিফ লাম মিম (৪২), নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও সিটি কর্পোরেশনের মশক বিভাগের পরিদর্শক সানাউল্লাহ (৬০) এবং বাগমারা উপজেলার আকলিমা (৪০)।
জেসমিন (২৮) ও নওগাঁ জেলার বিপুল (৬৪) নামে দুজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আক্রান্তদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করেছেন এবং এলাকায় ও বাজারেও গেছেন। সংস্পর্শে এসছেন সহকর্মীসহ পরিবারের সকলের।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: