রাজশাহীতে পৃথক ঘটনায় তিনজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২ ০৪:২৭; আপডেট: ৩ মে ২০২৫ ২৩:০৩

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে বিভিন্ন ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন ট্রেনে কাটা পড়ে, একজন বাস চাপায় এবং একজনকে শ^াসরোধ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
ট্রেনে কেটে যুবক নিহত
রাজশাহীর বাঘায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (২০) যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বাঘার আড়ানী রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে রেললাইনের ওপর অজ্ঞাত যুবকের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরদীর জিআরপি থানার পুলিশ। গতকাল বুধবার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নিকট লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

আড়ানী রেল সূত্র জানায়, ‘ঢাকা, খুলনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন রাজশাহীতে ২৪টি ট্রেন যাতায়াত করে। কোন একটি ট্রেনের নিচে পড়ে এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আমার পয়েন্টম্যান সকালে লাইন ক্লিয়ার দিতে গেলে দ্বিখণ্ডিত অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ দেখতে পায়। পরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’ নিহত যুবকের পরিচয় না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশ দাফন করা হয়।’

বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সাইকেল আরোহী এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাজাবাড়ীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আনন্দ সরেন (১৩) উপজেলার মানাদীঘি গ্রামের বিশ্বনাথ সরেনের ছেলে। এছাড়া সে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

গোদাগাড়ী থানা পুলিশ জানায়, রাজাবাড়ীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কে একটি বাস সাইকেল আরোহীকে আনন্দ সরেন কে চাপা দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।
বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আমিনা বেগম (৫০) নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায় হত্যকারীরা। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিবপুরহাট নতুনপাড়া এলাকায় ঈদের আগের দিন রাতে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বিনা খাতুন নামে এক প্রতিবেশীর কাছে সাড়ে ৯ লাখ টাকা পেতেন নিহত আমিনা। ২০১১ সালের ১৮ মে ৮৬ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে আড়াই লাখ এবং পরবর্তীতে দুটি ব্যাংক চেক প্রদান করে আমিনার কাছে আরো ৭ লাখ টাকা নেন বিনা। তবে টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন তিনি।

আমিনা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সালিশে বসলে টাকা ফেরত দিতে সময় চান বিনা। তবুও টাকা পরিশোধ না করায় পাওনাদার আমিনা ৭ লাখ টাকার একটি চেক ডিজওনার করেন। এতে ক্ষীপ্ত হন বিনা। একবছর আগে শান্ত নামে স্থানীয় এক যুবক আমিনার বাসায় ঢুকে ৮০ হাজার টাকা চুরি করে ধরা পড়েন। তারা কয়েকজন একত্রিত হয়ে আমিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঈদের আগের রাতে সুজন ও তার স্ত্রী বিনা, মোকলেছ ও শান্ত পরিকল্পনা মোতাবেক আমিনার বাসায় ঢুকে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে।

নিহতের ভাই ও মামলার বাদি মুছা মিয়া বলেন, ঈদুল আজহার দিন বিকেলে আমার আরেক বোন সালমা খাতুন কোরবানির মাংস নিয়ে গিয়ে আমিনার বন্ধ দেখেন বাসার দরজা। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে শয়নকক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন বোনকে। চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকলে তারা ঘরে ঢুকে আমিনাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। মুছা মিয়া জানান, আমিনার গলার ডান পাশে নখের আচড়ের চিহ্ন এবং গলার বাম পাশে থুতনির নিচে ও বাম চোখের কোণে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া তার শরীরের সব স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায় হত্যকারীরা।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top