ভারত-ভিয়েতনাম থেকে চাল কেনার খরচ কমলো
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২২ ০৩:২৭; আপডেট: ৩ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৫২

চালের রপ্তানিমূল্য কমেছে ভারত ও ভিয়েতনামে। সরবরাহ বাড়ায় চলতি সপ্তাহে বিশ্বের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারক দেশ দুটিতে চালের রপ্তানিমূল্য কিছুটা কমতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় ভারত-ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশ, চীন, ইরান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো শিগগির আরও চাল কিনবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।
বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক ভারতে পাঁচ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের দাম প্রতি টন ৩৬১ থেকে ৩৬৫ মার্কিন ডলার (৩১ হাজার ২৮৮ থেকে ৩১ হাজার ৬৩৫ টাকা প্রায়) দাঁড়িয়েছে। সেখানে গত সপ্তাহে এ ধরনের চালের দাম ছিল প্রতি টন ৩৬৪ থেকে ৩৬৮ ডলার (৩১ হাজার ৫৪৮ থেকে ৩১ হাজার ৮৯৫ টাকা প্রায়)।
ভারতে চালের রপ্তানিমূল্য কমার পেছনে রুপির দরপতনেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডা-ভিত্তিক এক চাল রপ্তানিকারক বলেন, চাহিদা ভালো, কিন্তু রুপির কারণে দাম কমছে। গত কয়েক সপ্তাহে সরবরাহেরও উন্নতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে পাঁচ শতাংশ ভাঙা চাল প্রতি টন ৪১৫ ডলারে (৩৫ হাজার ৯৬৮ টাকা প্রায়) বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪২০ থেকে ৪২৫ ডলারের মধ্যে (৩৫ হাজার ৯৬৮ থেকে ৩৬ হাজার ৮৩৫ টাকা প্রায়)।
ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের বরাতে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে তাদের চাল রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ, চীন, ইরান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো থেকে বড় ক্রয়াদেশ মিলতে পারে।
প্রাথমিক শিপিং ডেটায় দেখায়, চলতি মাসে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি বন্দরে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৯০ টন চাল লোড করা হবে, যার বেশিরভাগই যাবে ফিলিপাইন ও কিউবার দিকে।
ভারত-ভিয়েতনামে কমলেও চালের রপ্তানিমূল্য বেড়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক থাইল্যান্ডে। দুই সপ্তাহ আগে যেখানে দেশটিতে প্রতি টন পাঁচ শতাংশ ভাঙা চাল ৪০৮ থেকে ৪১২ ডলারে (৩৫ হাজার ৩৬১ থেকে ৩৫ হাজার ৭০৮ টাকা প্রায়) বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা ৪১০ থেকে ৪১৪ ডলারে (৩৫ হাজার ৫৩৫ থেকে ৩৫ হাজার ৮৮১ টাকা প্রায়) দাঁড়িয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, দেশটি এ বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১১ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভালো উৎপাদন ও প্রচুর আমদানির কারণে যথেষ্ট মজুদ থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম বাড়তি। তবে সরকার দরিদ্র মানুষদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত চাল সরবরাহ করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: