ইসরায়েলে মিলল ১,২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের পুরাকীর্তি

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২২ ০৬:৩৮; আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৬

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের নেগেভ অঞ্চলে একটি প্রাচীন মসজিদের পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। নেগেভের ওই এলাকাটি কিছুটা মরু অঞ্চলের মতো। মসজিদটি এক হাজার দুই শ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে প্রতœতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন। খবর এএফপির।

গতকাল বুধবার ইসরায়েলি প্রতœতাত্ত্বিকেরা দেশটির দক্ষিণে প্রাচীন বিরল মসজিদটি উন্মুক্ত করেন। পুরাকীর্তি কর্মকর্তারা বলছেন, অঞ্চলটি কীভাবে খ্রিষ্ট–অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়েছে, মসজিদটি সেটিকেই সামনে এনেছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েল পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ (আইএএ) বলেছে, মসজিদের ধ্বংসাবশেষগুলো এক হাজার দুই শ বছরের বেশি পুরোনো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেদুইন শহর রাহাতে একটি নতুন বসতি স্থাপনের কাজ চলাকালে এর সন্ধান পাওয়া যায়।

আইএএ বলছে, নেগেভ মরু অঞ্চলের মসজিদটিতে একটি বর্গাকার কক্ষ রয়েছে। এর একটি দেয়াল পবিত্র মক্কার (কাবা শরিফ) দিকে মুখ করা। দেয়ালটির একটি ছোট খোপ (মিম্বারের অংশ) দক্ষিণ দিকে বের করা রয়েছে।

উল্লেখ, ইসরায়েল থেকে পবিত্র মক্কা শরিফ দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থিত। ফলে সেদিকে মুখ করে মসজিদ নির্মাণ করাই যুক্তিযুক্ত।

আইএএ বলছে, ‘এসব বিশেষ নির্মাণশৈলীতে বোঝা যায়, ভবনটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।’ এতে একসঙ্গে কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মসজিদের অল্প কিছু দূরেই একটি ‘অভিজাত আবাসিক ভবনেরও’ সন্ধান মিলেছে। সেখানে তৈজসপত্র ও কাচের শিল্পকর্মের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এতে বোঝা যায়, এর বাসিন্দারা বেশ সম্পদশালী ছিলেন।

তিন বছর আগে এই এলাকার কাছেই আরও একটি মসজিদের পুরাকীর্তির সন্ধান মেলে। ওই মসজিদটিও সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর একই সময়ের বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম দিকে ব্যাপকভাবে পরিচিত মসজিদগুলোর মতো এই দুটি মসজিদও সুপরিচিত ছিল।

আইএএ বলছে, এই মসজিদগুলো, আবাসন এবং আশপাশে পাওয়া অন্যান্য ঘরবাড়ি থেকে বোঝা যায়, উত্তর নেগেভে ঐতিহাসিক বিবর্তন প্রক্রিয়াটি কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল। কীভাবে একটি নতুন ধর্ম ইসলামের সূচনা, একটি নতুন শাসনব্যবস্থা ও সংস্কৃতি এই অঞ্চলে বিকশিত হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘আগেকার বাইজেন্টাইন সরকার ও খ্রিষ্টধর্মের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাইজেন্টাইন সরকার ও খ্রিষ্টধর্ম এই ভূখণ্ডে কয়েক শ বছর কর্তৃত্ব করেছিল।’ মুসলিমরা সপ্তম শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই অঞ্চল বিজয় করে।

আইএএ বলছে, রাহাতে পাওয়া মসজিদগুলো সেগুলোর বর্তমান অবস্থানেই সংরক্ষণ করা হবে। এটা হতে পারে ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে অথবা নামাজের জন্য চালু মসজিদ হিসেবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top