ইউক্রেন সংকট

জলবিদ্যুৎ বাঁধ ধ্বংসের ছক কষছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

রাজটাইমস ডেস্ক:  | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ০২:০৫; আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:১২

ছবি: সংগৃহিত

রাশিয়া খেরসনের পূর্বদিকে অবস্থিত একটি হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ। এদিকে এগিয়ে আছে ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ার নিযুক্ত কর্মকর্তারা এখান থেকে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ বাহিনী কাখোভকা জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি উড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে খনন করেছিল, যা বড় মাত্রায় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাতে ভার্চুয়ালি ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, বাঁধে মাইন পুঁতেছে রুশ সেনারা। এতে করে সোভিয়েত আমলে তৈরি করা ৪০০ কিলোমিটার লম্বা খালটি হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধটি বর্তমানে রাশিয়ার দখলে থাকলেও ইউক্রেনীয় বাহিনী খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। যদিও ইতোমধ্যে বাঁধটিতে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। বাঁধটি ধ্বংস হয়ে গেলে দিনিপ্রো নদীর আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ দ্রুত বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে। দক্ষিণে পানির সরবরাহ কমানোর ফলে ইউরোপের বৃহত্তম জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শীতলীকরণ ব্যবস্থার ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন অতীতের তুলনায় অনেক নরম হয়েছেন এবং তিনি আলোচনায় বসতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। সংঘাত অবসানে সম্ভাব্য আলোচনার বিষয়ে বলেছেন তিনি।

অন্যদিকে, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় শহর খেরসনে কিয়েভ বাহিনীর হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মস্কোর নিয়োগ করা ওই অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর কিরিল স্ত্রিমুসোফ শুক্রবার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি বেসামরিক ফেরিতে আঘাত হানে। ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলোর পাল্টা আক্রমণে বাড়তে থাকা চাপের মুখে রুশ অধিকৃত অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ আগামী ছয় দিনের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাঁরা ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাতে রুশ বাহিনীকে সাহায্য করছেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

খবর রয়টার্স, সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ানের।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top